ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

কোনো দল নয়, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সমর্থন যুক্তরাষ্ট্রের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:২০ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০১৮

নির্বাচনে সবার শান্তিপূর্ণ আচরণ প্রত্যাশা করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার বলেছেন, রাজনৈতিক দল হোক আর সে যেই হোক, সবাই যেন শান্তিপূর্ণ আচরণ করে। সবাই যেন সহিংসতা থেকে দূরে থাকে। কেননা, সহিংসতা গণতন্ত্রের পথে বাধা। যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, সহিংসতা শুধু তাদের উদ্দেশ্য পূর্ণ করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোনো রাজনৈতিক দল অথবা প্রার্থীকে সমর্থন করে না। আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং মূল্যবোধকে সমর্থন করি।

মঙ্গলবার আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সবাইকে সহিংসতা এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সহিসংতা গণতন্ত্রের পথে বাধা হিসেবে দাঁড়ায়।

nnn

সিইসির সঙ্গে কোন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আলোচনার জন্য এসেছিলাম। আমরা বলেছি, সব দল অবাধে নির্বাচনে অংশ নেয়ার এবং রাজনীতি করার যেন সুযোগ পায়। তারা যেন শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনী প্রচার চালাতে এবং র‌্যালি করার সুযোগ পায়। বিতর্কের মধ্যে দিয়ে শক্তিশালী গণতন্ত্র আরও বিকশিত হয়। গণমাধ্যম, বিরোধী দল যেন তাদের মত ব্যক্ত করতে পারে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১০ কোটি ৪০ লাখ বাংলাদেশি (ভোটার) অংশ নেবেন। আমরা সবাই এই নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছি। বাংলাদেশ সরকারের প্রতিশ্রুতি- অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার বিষয়টিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উৎসাহিত করে।

তিনি আরও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ টিমকে সহায়তা করবে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই)। পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট প্রাক-মূল্যায়ন দল অক্টোবরে পাঠিয়েছিল এনডিআই। পরবর্তীতে ডিসেম্বরেও একই রকম আরও একটি দল পাঠিয়েছিল।

এনডিআইয়ের অংশীদার ‘দি এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশন’। তারা দুজন আন্তর্জাতিক নির্বাচন বিশেষজ্ঞ নিয়োজিত করেছে এবং স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি ইলেকশন পর্যবেক্ষকও পাঠাবে।

মার্কিন দূতাবাস পৃথক পর্যবেক্ষক দল নিয়োগ করবে সারাদেশে। যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ডের সহযোগিতায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৫ হাজার স্থানীয় পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণে অর্থায়ন করবে। যারা ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের (ইডব্লিওজি) হয়ে কাজ করবে।

এইচএস/জেএইচ/আরআইপি

আরও পড়ুন