ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

ভিকারুননিসার অবস্থা সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:১২ পিএম, ০৯ ডিসেম্বর ২০১৮

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বর্তমান অবস্থা সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি বলে দাবি করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন।

রোববার সচিবালয়ে একটি অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে এ সময় তিনি ভিকারুননেসার শিক্ষার্থীদের অনশন ভেঙে ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান। এ ব্যাপারে আদালত ও মন্ত্রণালয় উপযুক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে বলেও জানান তিনি।

কারও প্রতি যেন অসম্মান না হয় তাও বিবেচনায় রাখা হচ্ছে বলে জানান সচিব।

এদিকে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাতী শাখার শ্রেণিশিক্ষক হাসনা হেনার মুক্তির দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) হাসিনা বেগম।

রোববার দুপুর পৌনে ১টার দিকে প্রতিষ্ঠানটির বেশকিছু শিক্ষককে নিয়ে গেটের বাইয়ে এসে ‘অনশন’ কর্মসূচি পালন করা শিক্ষার্থীদের পানি পান করান তিনি।

এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমাদের প্রতি ভালোবাসার টানে তোমরা আন্দোলনে নেমেছো। তোমাদের এই ভালবাসায় আমরা অনেক খুশি হয়েছি। কিন্তু আমরা ক্লাসে বসে থাকবো আর তোমরা ক্লাস বর্জন করে বাইরে বসে অনশন করবে তা হতে পারে না। অনশন করতে হয় সবাই একসাথে কবরো।’

তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু বিষয়টি আইনি প্রক্রিয়ায় রয়েছে তাই আইনিভাবে এটি মোকাবেলা করা হবে। আইনের প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। এ অবস্থায় তোমরা যদি আন্দোলন অব্যাহত রাখ তাহলে বিষয়টি প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ন করবে।’

পরে তিনি শিক্ষার্থীদের পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙান এবং অন্যান্য শিক্ষকদের সহযোগিতায় তাদের প্রতিষ্ঠানের ভেতরে নিয়ে যান।

এর আগে রোববার সকাল ১০টা থেকে শিক্ষক হাসনা হেনার মুক্তির দাবিতে প্রতিষ্ঠানটির মূল ক্যাম্পাসের গেটের সামনে বসে প্রায় দু’শ শিক্ষার্থী ‘অনশন’ কর্মসূচি পালন করে। এ ছাড়া দুপুরে দাবি-দাওয়া নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের কাছেেএকটি স্মারকলিপিও জমা দিয়েছে তারা।

উল্লেখ্য, গত সোমবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর শান্তিনগরের নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয় অরিত্রি। মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল (ঢামেক) কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর পল্টন থানায় ‘আত্মহত্যার প্ররোচণাকারী’ হিসেবে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, প্রভাতী শাখার শিফট ইনচার্জ জিনাত আখতার ও প্রভাতী শাখার শ্রেণি শিক্ষিকা হাসনা হেনার বিরুদ্ধে মামলা করেন অরিত্রির বাবা।

মেয়ের আত্মহত্যার দিন বাবা দিলীপ অধিকারী বলেছিরেন, অরিত্রির স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল। সমাজবিজ্ঞান পরীক্ষা চলার সময় (২ ডিসেম্বর) তার কাছে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। এজন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের ডেকে পাঠায়। সোমবার (গত) স্কুলে গেলে স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের জানায়, অরিত্রি মোবাইল ফোনে নকল করছিল, তাই তাকে বহিষ্কারের (টিসি) সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ আমার মেয়ের সামনে আমাকে অনেক অপমান করে। এই অপমান এবং পরীক্ষা আর দিতে না পারার মানসিক আঘাত সইতে না পেরে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। সোমবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে বাসায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয় অরিত্রি। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এমএইচএম/জেডএ/আরআইপি

আরও পড়ুন