অভ্যন্তরীণ রুটে পথ দেখাচ্ছে নভোএয়ার
দেশের অভ্যন্তরীণ সকল রুটে সফলতার সঙ্গে ফ্লাইট পরিচালনা করছে বেসরকারি বিমান পরিবহন সংস্থা নভোএয়ার। দেশের অন্য সব এয়ারলাইন্স অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট সীমিত করার চিন্তা করলেও নভোএয়ার একই রুটে সর্বোচ্চ ছয়টি পর্যন্ত ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এছাড়া তুলনামুলক ভাড়া কম ও দ্রুতগামী হওয়ায় নভোএয়ারে যাত্রী সংকটও নেই। বিমান পরিবহন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, প্রপেলার বা টার্বোপ্রপ এয়ারক্রাফটের পরিবর্তে এমব্রয়ার জেট এয়ারক্রাফট বহরে যোগ করে অভ্যন্তরীণ রুটে সর্বাধিক ফ্লাইট পরিচালনা করে আসছে নভোএয়ার। অভ্যন্তরীণ একই গন্তব্যে অন্য সব এয়ারলাইন্স সর্বোচ্চ তিনটি ফ্লাইট পরিচালনা করলেও নভোএয়ার ছয়টি পর্যন্ত ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
সার্বিক বিচারে যাত্রা শুরুর আড়াই বছরে মধ্যেই সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৪ সালে বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন নভোএয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের হাতে তুলে দেন ‘মনিটর এয়ারলাইন্স অব দ্যা ইয়ার’ অ্যাওয়ার্ড। নভোএয়ার লিমিটেডের মার্কেটিং এন্ড সেলস ম্যানেজার একেএম মাহফুজুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, নভোএয়ার যাত্রা শুরু করে ২০১৩ এর জানুয়ারিতে। এছাড়া ২০১৪ সালের শুরুতেই আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি লাভ করে প্রতিষ্ঠানটি। নভোএয়ার বহরে যোগ হওয়া সবগুলো এযারক্রাফটই জেট এয়ার। ড্রাই কিংবা ওয়েট লীজে নয় তিনটি এয়ারক্রাফটই নিজস্ব অর্থায়নে কেনা। ব্রাজিলিয়ান এমব্রয়ার কোম্পানির সর্বাধুনিক সুবিধাদির সংযোজনে তৈরি ইআরজে-১৪৫ মডেলের এসব এয়ারক্রাফট যেমন সাশ্রয়ী তেমনি আরামদায়ক। যে কারণে নভোএয়ার দেশের অভ্যন্তরীণ রুটে সর্বনিন্ম ভাড়ায় যাত্রী সেবা দিতে পারছে। বর্তমানে প্রতিটি রুটেই পূর্ণ আসন ভরেই ফ্লাইট যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, নভোএয়ার বাংলাদেশে প্রথম ফ্রিকোয়েন্ট ফ্লাইয়ার। এই এয়ারলাইন্সে দুই হাজার কিলোমিটার যাত্রা করে যাত্রীরা একটি করে ফ্রি টিকিটের সুবিধা পাচ্ছেন। চট্রগ্রাম যেতে অন্যসব এয়াররাইন্সে কমপক্ষে ৪৫ থেকে ৫০ মিনিট লাগলেও নভোএয়ারের লাগে মাত্র ২৫ মিনিট।
অভ্যন্তরীণ রুটে চারটি গন্তব্যে নভোএয়ারই সর্বোচ্চ এগারোটি ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এরমধ্যে কেবল চট্রগ্রামের উদ্দেশ্যে প্রতিদিন ছেড়ে যায় ছয়টি ফ্লাইট। যশোর, সিলেট ও কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় আরো পাঁচটি ফ্লাইট।
আরএম/এএইচ/এআরএস/আরআইপি