ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

ইপিজেডে সমিতি গঠনে শ্রমিকদের সমর্থন হার কমছে

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৬:৪৪ পিএম, ০৩ ডিসেম্বর ২০১৮

রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেডে) শ্রমিকদের কল্যাণ সমিতি (ট্রেড ইউনিয়ন) গঠনে শ্রমিকদের সমর্থন হার কমছে। আগে শ্রমিক কল্যাণ সমিতি গঠনে ৩০ শতাংশ শ্রমিকের সমর্থন লাগলেও নতুন আইনে তা কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হচ্ছে।

এমন বিধান ‘বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন, ২০১৮’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। সংসদ অধিবেশন না থাকায় আইনটি অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হবে বলেও জানান তিনি।

২০১৩ সাল থেকে এ আইনটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এই পর্যায়ে নিয়ে আসা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘২০০৬ সালের মূল শ্রম আইনের সঙ্গে এটাকে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার জন্য যা যা করা দরকার করা হয়েছে। আইএলও, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রেরও কিছু অবজারবেশন ছিল এটাকে একটু শ্রমবান্ধব করার জন্য। সে দাবিতেই এটাকে অনেকটা শ্রমিকদের ফেভারেবল করা করা হয়েছে।’

নতুন আইনের বিভিন্ন পরিবর্তন তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘শ্রমিক কল্যাণ সমিতি গঠনের জন্য আগে ৩০ শতাংশ শ্রমিকের সমর্থন লাগত, নতুন আইনে সেটা ২০ শতাংশ করা হয়েছে। নিচে নামিয়ে আনা হয়েছে। বেপজার নিজস্ব পরিদর্শন কার্যক্রমের পাশাপাশি শিল্প প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের যে অধিদফতর আছে তাদেরও এ আইনের আওতায় পরিদর্শন সুযোগ রাখা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘শ্রমিক কল্যাণ সমিতি মানেই ট্রেড ইউনিয়ন। নামটা ভিন্ন, কিন্তু কাজ একই। শ্রমিকরাও এ নামটি পছন্দ করেছেন।’

দুই-তৃতীয়াংশ শ্রমিকের সমর্থনেই ডাকা যাবে ধর্মঘট

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘শ্রমিকদের ধর্মঘট করার ক্ষেত্রে যে তিন-চতুর্থাংশের সমর্থনের বাধ্যবাধকতা ছিল সেটা কমিয়ে দুই-তৃতীয়াংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। শ্রম আইনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে শ্রমিক কল্যাণ সমিতির গঠনতন্ত্র শ্রমিকরা নিজেরা করতে পারবেন, সেই বিধান রাখা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘নতুন আইনে শ্রমিকদের ধর্মঘট ও লক আউটের অধিকার দেয়া হয়েছে। শ্রমিক কল্যাণ সমিতির নির্বাচিত কর্মকর্তাদের চাকরি সংক্রান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। মালিকদেরও সমিতি করার অধিকার দেয়া হয়েছে। যোগ্য শ্রমিক বলে একটা বিধান ছিল আগের আইনে, নতুন আইনে সেটা বাদ দেয়া হয়েছে।’

শফিউল আলম বলেন, ‘সমিতির নির্বাহী পরিষদের পরবর্তী নির্বাচনের সময় এক বছর থেকে কমিয়ে ৬ মাস করা হয়েছে। শ্রমিকের ইস্তফাজনিত কারণে সার্ভিস বেনিফিট প্রাপ্তি সংক্রান্ত একটি নতুন উপধারা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অবসর গ্রহণের ক্ষেত্রে শ্রমিকরা সার্ভিস বেনিফিট হিসেবে প্রত্যেক বছরের জন্য ৩০ দিনের মূল মজুরির পরিবর্তে ৪৫ দিনের মূল মজুরি পাবেন।’

সমিতি গঠন প্রক্রিয়াও সহজ হচ্ছে

তিনি বলেন, ‘আইএলও (আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা), ইউএস অ্যাম্বাসি ও ইইউ (ইউরোপীয় ইউনিয়ন)-এর মতামতের ভিত্তিতে শ্রমিক কল্যাণ সমিতি গঠনের জন্য আগে একটা রেফারেন্ডাম সিস্টেম ছিল অর্থাৎ গণভোট, সেটা বাদ দেয়া হয়েছে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠানে ৩ মাস পর্যন্ত শ্রমিক সমিতি গঠন নিষিদ্ধ ছিল, সেই বিধানটাও বাদ দেয়া হয়েছে। শ্রমিক কল্যাণ সমিতি গঠনের জন্য আগে ১২টি স্টেপ ছিল, এখন কমিয়ে তিনটি ধাপ করা হয়েছে।’

ইপিজেডের বিনিয়োগকারীরা এ আইনের সঙ্গে একমত কি না- জানতে চাইলে শফিউল আলম বলেন, ‘সবার মতো নিয়েই আইনটি করা হয়েছে।’

আরএমএম/এনডিএস/এমএস

আরও পড়ুন