সমস্যা সমাধানে যুব সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান
দেশের যেকোনো সমস্যা সমাধানে যুব সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন জনউদ্যোগ আয়োজিত আলোচনা সভার আলোচকবৃন্দ।
বুধবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরসি মজুমদার আটর্স অডিটোরিয়ামে জনউদ্যোগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এ আহ্বান জানান।
জনউদ্যোগ এর আহ্বায়ক অধ্যাপক এইচ কে আরেফীনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন আইইডির নির্বাহী পরিচালক নুমান আহম্মদ খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ-যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. রোবায়েত ফেরদৌস, রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. শান্তনু মজুমদার, যুব ইউনিয়ন সভাপতি কাফি রতন প্রমূখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা, আদিবাসী-বাঙালি শিক্ষার্থী-যুবদের মিথষ্ক্রিয়া, কর্মউদ্যোগ ও সৌর্হাদ্য সৃষ্টির উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এদেশ আমাদের সকলের, তাই দেশের যেকোন সমস্যা সমাধানে আমাদের সকলের দায়িত্ব সমান। যুবসমাজ দেশের প্রধান চালিকাশক্তি। তাই যুবসমাজকেই সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে।
বক্তারা বলেন, বহুজাতির বসবাসের বৈচিত্রময় এই দেশে সকলের জীবনধারা হবে বাধাহীন। তাই এটা বাস্তবায়নে আমাদের যুবসমাজকে একত্রে কাজ করতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন, দেশে বর্তমানে আদিবাসী জাতিসমূহ নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত। এমনকি আজও তাদের আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি মেলেনি। সমতলে আদিবাসীদের পৃথক ভূমির দাবি দীর্ঘ দিনের। এছাড়া ১৮ বছর হতে চললেও এখনো বাস্তবায়ন হয়নি পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি। তারওপর একের পর এক হত্যা-ধর্ষণ চলছে। চলছে পাহাড় ও সমতলে আদিবাসীদের সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন কাজও।
তারা অবিলম্বে আদিবাসী শিশুদের মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা অর্জনের সুযোগ করে দেয়ার দাবি জানান। এছাড়া দেশে চলমান অস্থিরতারোধে আদিবাসীদের সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
আলোচনা সভার শুরুতে মুক্ত চিন্তার ধারক ব্লগার অভিজিত রায়, নিলাদ্রী চট্টপাধ্যায়, ওয়াশিকুর রহমান, অনন্ত বিজয় দাসসহ মুক্তবুদ্ধি চর্চার লোকদের হত্যার নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানান তারা।
এমএইচ/এসকেডি/এমআরআই