ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

প্রধানমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে তাবলিগ জামাত

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ০৭:৪০ পিএম, ২৭ নভেম্বর ২০১৮

বিশ্ব ইজতেমাকে সামনে রেখে প্রত্যেক বছর টঙ্গীতে পাঁচ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। এবার ৩০ নভেম্বর শুক্রবার থেকে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে শুরু হবে এই জোড়। শান্তিপূর্ণভাবে এ জোড় আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তাবলিগ জামাতের মূলধারার মুরুব্বি ও সাথীরা। একই সঙ্গে আগামী ১১ থেকে ১৩ জানুয়ারি বিশ্ব ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতেও হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।

মঙ্গলবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে মুরুব্বি ও সাথীরা বলেন, জোড়কে বানচাল করতে একটি মহল মাদরাসার কোমলমতি ছাত্রদের হাতে লাঠিসোটা দিয়ে ইজতেমা মাঠ দখলের চেষ্টা করছে। পাকিস্তানের ইন্ধনে বিশ্ব ইজতেমাকে বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে দিতে নানা ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন অ্যাডভোকেট মো. ইউনুস মোল্লা। উপস্থিত ছিলেন মেজর জেনারেল (অব.) মো. রফিক, খাদ্য বিভাগের সাবেক ডিজি রুহুল আমিন, ব্যারিস্টার গাজীউর রহমান, অ্যাডভোকেট আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা সাইফুল্লাহ প্রমুখ।

কুচক্রীমহল শান্তিপূর্ণ জোড় ও দাওয়াতি কার্যক্রমকে অহিংস করে তোলার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে বলে অভিযোগ তুলে তাবলিগের মুরুব্বি ও সাথীরা বলেন, এই অবস্থায় কোনো প্রকার দুর্ঘটনা, সংঘর্ষ বা সংঘাত ঘটলে তার দায়ভার কওমি মাদরাসা, শিক্ষাবোর্ড, মাদরাসার ওস্তাদ, মহতামিম, কমিটি ও তাবলিগের মূলধারাচ্যুত বিদ্রোহী মুরুব্বিদেরই নিতে হবে।

মুরুব্বিরা বলেন, অর্ধশত বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ সরকার ও সর্বস্তরের জনগণের সহযোগিতায় বিশ্বের ৮০টি দেশের অংশগ্রহণে বাংলাদেশের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি একটি মহল পাকিস্তানের ইন্ধনে বিশ্ব ইজতেমাকে বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে দিতে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। এটি সেই ষড়যন্ত্রেরই একটি অংশ মাত্র। এসব ষড়যন্ত্রকে রুখে ইসলামের দাওয়াতি কাজ বিশ্ব ইজতেমাকে সুষ্ঠুভাবে সংগঠিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

লিখিত বক্তব্যে মুরুব্বিরা বলেন, বিশ্ব তাবলিগ-জামাতের মূলধারার সঙ্গে সম্পৃক্ত তাবলিগ-জামাত বাংলাদেশের নিয়মতান্ত্রিক ধর্মীয় কার্যক্রম পরিচালনায় বহিরাগত প্রতিক্রিয়াশীল চক্রের বাধা প্রদানের প্রতিবাদ করছি আমরা। আমরা প্রধানমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে আছি। আশা করছি, ৩০ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচদিনের জোড় এবং ১১, ১২, ১৩ জানুয়ারি বিশ্ব ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের জন্য সরাসরি হস্তক্ষেপ করবেন তিনি।

তারা অভিযোগ করেন, মাওলানা যোবায়েরের সহযোগী ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজ গত ২৭ এপ্রিল কাকরাইল মসজিদের দক্ষিণ পাশে মাসওয়ারার বিল্ডিংয়ের তৃতীয় তলায় দুটি মোবাইল ফোন সিগন্যাল জ্যামার স্থাপন করেন, যা নাশকতা কর্মকাণ্ড সংগঠনের উদ্দেশ্যে জঙ্গিগোষ্ঠী, সন্ত্রাসীরা ব্যবহার করে। পুলিশের দ্রুত হস্তক্ষেপে জ্যামার দুটি উদ্ধার করা হলে কাকরাইল মসজিদে অবস্থানরত দেশ-বিদেশের মেহমানরা বিপদমুক্ত হন।

লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, এ বিষয়ে ঢাকার রমনা মডেল থানার এসআই মোহাম্মদ মোশারেফ হোসেন একটি মামলা (মামলা নং-০৫) করেন।

মামলার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা বলেছেন, ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজের টাকায় কেনা মোবাইল ফোন সিগন্যাল জ্যামার দুটি কেনা হয় এবং তারই নির্দেশে স্থাপন করা হয়।

ভয়ঙ্কর ফৌজদারি অপরাধ সংগঠনের পরেও ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি এখনও দ্বীনের দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছেন। ওই মামলাটি ভিন্ন দিকে ব্যবহার করার চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। কাকরাইল মসজিদসহ সমগ্র দেশের লাখ লাখ তাবলিগের সাথী নিরাপত্তাহীনতা ভুগছেন।

এমইউ/জেডএ/আরআইপি

আরও পড়ুন