ডেসটিনির এমডি-চেয়ারম্যানের মুক্তি দাবি
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় কারাবন্দি ডেসটিনি ২০০ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আলহাজ মো. শাহিন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমীনের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছেন প্রতিষ্ঠানটির ক্রেতা-পরিবেশক ও বিনিয়োগকারীরা।
শনিবার (২৪ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের রাস্তায় আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দেশে স্বল্প সময়ে সর্বাধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী প্রতিষ্ঠান ডেসটিনি ২০০০ সালে জন্ম নেয়ার পর ২০১২ সালের মধ্যে ৪৫ লাখ লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে।
অন্যদিকে এ প্রতিষ্ঠানটি ২০০০ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে ৪১০ কোটি টাকার ভ্যাট ও ট্যাক্স পরিশোধ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি চালু থাকলে প্রতি মাসে গড়ে ১০ কোটি টাকা করে ২০১২-১৮ সালে সাত বছরে সরকারকে ৮৪০ কোটি টাকা রাজস্ব প্রদানের সুযোগ পেত।
ডেসটিনির বিরুদ্ধে কাল্পনিক অভিযোগ আনা হয়েছে অভিযোগ করে বক্তারা বলেন, কয়েকটি পত্রিকায় প্রতিবেদনের সূত্র ধরে ডেসটিনি গ্রুপের বিরুদ্ধে যে কাল্পনিক অভিযোগ আনা হয়েছে, তা হলো মানি লন্ডারিং অপরাধ।
অথচ মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে নির্দিষ্ট করে দেয়া ২৮ ধরনের সম্পৃক্ত অপরাধের কোনোটির সঙ্গে ডেসটিনির ব্যবসা সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। অভিযোগগুলো যে সম্পূর্ণ মিথ্যা তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ ২০১২ সালের জুলাই থেকে ২০১৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত দীর্ঘ তদন্তের পর চার্জশিট দাখিলের পর ২০১৬ সালের মে পর্যন্ত ১৩৮টি শুনানি অনুষ্ঠিত হলেও 'বিচার্য বিষয় নির্ধারণ' সম্ভব হয়নি।
তারা বলেন, দুদকের তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে যে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার দেনার বিপরীতে ডেসটিনি গ্রুপের ৩৫টি প্রতিষ্ঠানের সম্পদের মূল্য দাঁড়িয়েছে চার হাজার কোটি টাকা।
অথচ ‘গুটিকয়েক' পত্রিকায় উদ্দেশ্যমূলক মিথ্যা প্রতিবেদনের সূত্র ধরে সাত বছর ধরে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে বিশাল জনগোষ্ঠি মানবেতর জীবন যাপন করছে।
ডেসটিনি গ্রুপ কোনো ব্যক্তি পরিবার অথবা গোষ্ঠীর একক মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান নয় উল্লেখ করে তারা বলেন, কোম্পানি আইনের অধীনে নিবন্ধিত ৩৪টি এবং সমবায় আইন ২০০১ এর অধীনে নিবন্ধিত একটিসহ মোট ৩৫ প্রতিষ্ঠানে ৪৯-৯৮ শতাংশ শেয়ারের মালিক সমবায় সমিতি ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি। সমিতির সদস্য সংখ্যা আট লাখ ৫৫ হাজার।
মানববন্ধনে আরও বলা হয়, দুদকের জব্দ রাখা ডেসটিনি গ্রুপের মোট সম্পদের মধ্যে আছে ঢাকা ও দেশের অন্যান্য বিভাগীয় শহরে ৪০১ একর জমি, ৯৯ হাজার বর্গফুট বাণিজ্যিক/আবাসিক এপার্টমেন্ট, বৃক্ষরোপণ উপযোগী ৮৩৫ একর পাহাড়ি ও উপকূলীয় জমি, নিজস্ব ও দীর্ঘমেয়াদি লিজ করা প্রায় সাত হাজার ৫০০ একর জমিতে অবস্থিত ২৭টি বাগানে পরিপক্ব হওয়ার বিভিন্ন পর্যায়ে আছে ৮১ লাখ গাছ। এসব সম্পদের আনুমানিক বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া আরও ১১ হাজার একর জমি ক্রয় ও দীর্ঘমেয়াদি লিজ নেয়ার প্রক্রিয়াধীন ছিল।
এমএএস/এএইচ/জেআইএম