ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টায় ঐক্যফ্রন্ট : ১৪ দল

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৬:৪৩ পিএম, ২৩ নভেম্বর ২০১৮

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) গেছে ১৪ দলের একটি প্রতিনিধি দল। ফৌজদারিসহ একাধিক মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি হওয়া সত্ত্বেও কি করে তারেক রহমান নির্বাচনের বিষয় নিয়ে বিবৃত্তি দিচ্ছে তার প্রতিবাদ জানাতে যানা তারা। এছাড়া ঐক্যফ্রন্ট সভা সমাবেশের মাধ্যমে নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করছেও বলেও মনে করে ১৪ দল।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে শুক্রবার বিকেলে সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলিপ বড়ুয়ার নেতৃত্বে সেখানে যান ১৪ দলের প্রতিনিধিরা। এ সময় তারা একটি লিখিত অভিযোগও জমা দেন। তিন পৃষ্ঠার টাইপ করা অভিযোগে তারেক ও ঐক্যফ্রন্টের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে ধরা হয়।

বাংলাদেশে নির্বাচনের জন্য দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করতে প্রায় সাড়ে চার হাজার প্রার্থীর সাক্ষাৎকার নিয়েছে বিএনপি। লন্ডন থেকে এ প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিলেন তারেক রহমান। বাংলাদেশের ডিজিজাল ব্যবস্থার সুযোগ নিয়ে তিনি স্কাইপিতে ভিডিও কলের মাধ্যমে তাদের সাক্ষাৎকার নেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার পুলিশ প্রসাশনের ৭০ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ২২ জন জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের দলীয় উল্লেখ করে তাদের প্রত্যাহার দাবি করে ঐক্যফ্রন্ট। অভিযোগে ঐক্যফ্রন্টের এ দাবিকে অসত্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে ১৪ দল তাদের অভিযোগ উল্লেখ করে। এটি বাস্তবতা বিবর্জিত বলেও দাবি করেন তারা।

এ ছাড়া মনোননয়ন প্রত্যাশীদের তারেক রহমানের সাক্ষাৎকার নেয়া সংবিধান বিরোধী বলে উল্লেখ করা হয়। তারা জানান, বিচারপতি মো. কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি এটিএম সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ বাংলাদেশের কোনো গণমাধ্যম বা অন্য কোনো মাধ্যমে যাতে দণ্ডিত তারেক রহমানের কোনো বক্তব্য প্রচার না করে সে ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। তাই তিনি যে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সেটি উচ্চ আদালতের রায়ের লঙ্ঘন ও বেআইনি।

অভিযোগে আরও বলা হয়, বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট্র বাক স্বাধীনতার নামে বাক্য সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে। এতে নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী জামায়াতে ইসলামীর প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তি নির্বাচন করবেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দণ্ডিত দলটির কেউ যাতে নির্বাচনে কোনোভাবেই অংশ নিতে না পারে সেই দাবিও জানায় ১৪ দল।

নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদসহ ৯২ জন কর্মকর্তার প্রত্যাহারে দাবি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র বলেও জানান তারা।

পরে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ‘এক ঢিলে দুই পাখি শিকারের চেষ্টা করছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। তারা একদিকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, আবার প্রতিদিন নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে মনগড়া ও বানোয়াট অভিযোগ করে সংশ্লিষ্টদের মনোবল ভেঙে দেয়ার অপচেষ্টা করছে। তারা যাতে নিরপেক্ষভাবে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজন করতে না পারে।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি প্রতিনিয়ত নির্বাচনী আইন ও আচরণবিধি লঙ্ঘন করে বক্তব্য রাখছে অথচ ঐক্যফ্রন্টের প্রধান ড. কামাল হোসেন একজন আইনজ্ঞ হয়েও এ বিষয়ে কিছুই বলছেন না। বিএনপি যে দাবিগুলো উত্থাপন করছে সেগুলো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং তারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়।’

এইচএস/এনডিএস/পিআর

আরও পড়ুন