উড়োজাহাজ বাড়লেও বাড়েনি বোর্ডিং ব্রিজ
বিশ্বের প্রায় সব বিমান বন্দরে সময় ও চাহিদার সঙ্গে সরঞ্জাম সুবিধা বাড়লেও হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর যেন চলছে উল্টো পথে। গত ছয় বছরে এই বিমান বন্দরে স্লট নেয়া উড়োজাহাজের সংখ্যা দ্বিগুন হলেও বোর্ডিং ব্রিজের সংখ্যা বাড়ানো যায়নি একটিও।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে দায়িত্বরত সিভিল অ্যাভিয়েশনের ফ্লাইট ইনফরমেশন অফিসার জাকির হোসেন জানান, বর্তমানে দেড় শতাধিক এয়ারক্রাফট ওঠা-নামা করে এই বন্দর দিয়ে। বছর পাঁচেক আগে এ পরিমাণ ছিল অর্ধেকের মতো।
জানতে চাইলে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দায়িত্বরত সিভিল এভিয়েশনের প্রকৌশলী আজিমুদ্দিন জাগো নিউজের কাছে বিমানবন্দরে বোর্ডিং ব্রিজ স্বল্পতার কারণে সৃষ্ট বিড়ম্বনার কথা স্বীকার করে জানান, দেড় শতাধিক ফ্লাইট ওঠা-নামার জন্যে মোট বোর্ডিং ব্রিজ রয়েছে মাত্র আটটি। এরমধ্যে সর্বপ্রথম ১৯৯৩-৯৪ সালে ৪টি বোর্ডিং ব্রিজ ক্রয় করা হয়। তখন বিমানবন্দরে টার্মিনাল ভবন ছিল মাত্র একটি। ১৯৯৬-৯৭ সালে আরো দুইটি বোর্ডিং ব্রিজ স্থাপন করা হয় সীমিত একটি ভবনে।
তিনি আরো জানান, টার্মিনাল-২ নির্মাণের পর ২০০৮-০৯ সালে আরো দুটি আধুনিক বোর্ডিং ব্রিজ স্থাপন করা হয়। গত পাঁচ বছর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বেশ কয়েকটি বিদেশি এয়ারলাইনসকে স্লট বরাদ্দ দেয় সিভিল এভিয়েশন অথরিটি। বরাদ্দ দেয়া স্লট ও ফ্লাইটের পরিমাণ দ্বিগুণ হলেও বোর্ডিং ব্রিজ বাড়ানো যায়নি একটিও।
বোর্ডিং ব্রিজ প্রকৌশল বিভাগের আরেকজন প্রকৌশলী বলেন, ফ্লাইট বৃদ্ধির বর্তমান হার অব্যাহত থাকলে আগামী এক বছর পর পরিস্থিতি সামাল দেয়া মুশকিল হয়ে দাঁড়াবে।
অবশ্য ওই কর্মকতা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, থার্ড টার্মিনাল প্রকল্প সম্পন্ন হলে আরো ৩২টি বোর্ডিং ব্রিজ চালু হবে।
আরএম/আরএস/আরআইপি
সর্বশেষ - জাতীয়
- ১ নিউ এইজ সম্পাদককে হয়রানি, ঘটনা তদন্তের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
- ২ লেখাপড়ায় মনোযোগ দেন, প্রয়োজনে আবারও রাস্তায় নামবো
- ৩ ৩৭ বছর পর চট্টগ্রাম কমার্স কলেজে প্রকাশ্যে শিবির
- ৪ ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি এ সপ্তাহে, ক্যাডার-ননক্যাডারে পদ ৩৭০১
- ৫ সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ, ওষুধে ব্যয় ২০ শতাংশ