৩৬ টাকা দরে ৬ লাখ টন আমন চাল কিনবে সরকার
চলতি মৌসুমে প্রতি কেজি ৩৬ টাকা দরে ছয় লাখ মেট্রিক টন আমন চাল সংগ্রহ করবে সরকার। আগামী ১ ডিসেম্বর শুরু হয়ে আমন সিদ্ধ চাল সংগ্রহ কর্মসূচি চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
রোববার (১৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির (এফপিএমসি) সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভা শেষে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
সরকার গত বছর ৩৯ টাকা দরে ৬ লাখ টন আমনের চাল সংগ্রহ করেছিল।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রাথমিক পর্যায়ে ছয় লাখ টন আমন সংগ্রহ করা হবে, পরবর্তীতে যদি সন্তোষজনক হয় তবে আমরা আরও ২-৩ লাখ টন সংগ্রহ করব। তবে সেটা পরবর্তী সময়ে দেখা যাবে।’
আমন চালের উৎপাদন খরচ কত পড়েছে জানতে চাইলে কামরুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে চালের বাজার দর অনেক কম। বাজারে এখন ৩৩-৩৫ টাকায় চাল পাওয়া যাচ্ছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের উৎপাদন খরচ ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উৎপাদন খরচের মধ্যে একটু হেরফের আছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী উৎপাদন খরচ কোনো অবস্থাতেই ৩৫ টাকার বেশি হয় না। কৃষি মন্ত্রণালয়ের উৎপাদন খরচটা একটু বেশি ধরা হয়েছে। বাজার পরিস্থিতি, সব হিসাব করে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ-খবর নিয়ে আমরা আমনের ক্রয়মূল্য ৩৬ টাকা নির্ধারণ করেছি। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী উৎপাদন খরচ ৩৫ টাকার কাছাকাছি সাড়ে ৩৪ টাকা পড়ে।’
গত ১৩ নভেম্বর কৃষি মন্ত্রণালয়ে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে আমন উৎপাদন ব্যয় প্রাক্কলন সংক্রান্ত এক সভায় প্রতি কেজি আমন ধানের উৎপাদন ব্যয় ২৫ টাকা ৩০ পয়সা ও চালের উৎপাদন ব্যয় ৩৭ টাকা ৯০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যে মূল্য নির্ধারণ করেছি তাতে কৃষক লাভবান হবে। সংগ্রহ করতে আমাদের কোনো অসুবিধা হবে না।’
সরকারি চাল সাধারণত চুক্তির মাধ্যমে মিল মালিকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়।
সভায় খাদ্য পরিস্থিতি ও মজুদ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি খাদ্য গুদামে চাল ও গমসহ ১২ লাখ ১৮ হাজার টন খাদ্যশস্য মজুদ আছে। এরমধ্যে চাল ৯ লাখ ৬৮ হাজার টন। এটা সর্বোচ্চ মজুদ।’
খাদ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীসহ কমিটির সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয়, খাদ্য আধিদফতর এবং খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ ইউনিটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরএমএম/জেডএ/এএইচ/জেআইএম