বাঙালিত্ববোধ থাকলে কেউ ১৫ আগস্ট কেক কাটতে পারেন না
কারো যদি বিন্দুমাত্র বাঙালিত্ববোধ থাকে তাহলে সে কখনো ১৫ আগস্ট জন্মদিনের কেক কাটতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া। মঙ্গলবার দুপুর ১টায় রাজধানীর শাহবাগস্থ পাবলিক লাইব্রেরির অডিটোরিয়ামে বঙ্গবন্ধুর শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা ও আত্মজীবনী পাঠ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধুমাত্র একটি নাম নয়। এটি একটি ইতিহাস, একটি আন্দোলন, একটি স্বাধীনতা এবং একটি বাংলাদেশ। যার জন্ম না হলে এই বাংলাদেশ হতো না। তার শাহাদাৎ বার্ষিকীতে যদি কেউ কেক কাটে জন্মদিন পালন করে তাকে কি বাঙালি বলা যায়? আসলে কি তিনি বাঙালি? ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি কি বাঙালিদের সঙ্গে ছিলেন? সুতরাং বাঙালিত্ববোধ কি তিনি কি বুঝবেন?
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, একটি কথা বলতে চাই, খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগ পর্যন্ত কোনোদিন কি ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালন করেছেন? যদি না করে থাকেন তাহলে তিনি কি এর আগে এটি পালন করতে ভুলে গেছেন? কিন্তু তিনি কি ভুলে গেছেন ৭২ সালে যদি বঙ্গবন্ধু জিয়াকে বাধ্য না করতেন তাহলে তার অবস্থা কি হতো? সে কথাওতো মাথায় রেখে তিনি ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালন করা বন্ধ করে দিতে পারতেন।
ফজলে রাব্বী বলেন, তবে তার এবার কিছুটা উন্নতি হয়েছে, তিনি এবার ১৪ আগস্ট রাত ১২টায় কেক না কেটে পরদিন রাতে কেক কেটেছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরো বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কিন্ত আজ আর নেই। ২০১৫ সালের আগস্ট মাস দেখুন যে খন্দকার মোশতাক বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল। আজ তার বাড়ি ভেঙ্গে চুরমার করে দিতে যুবকরা গিয়েছিলো। সরকার এবং পুলিশ প্রশাসন তা রক্ষা করেছেন।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া আপনি আবার নাকি চক্রান্ত করার জন্যে লন্ডন যাচ্ছেন। একবার ভেবে দেখুন বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারী খন্দকার মোশতাকের কি অবস্থা হয়েছিল। ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করুন।
এ সময় তিনি স্কুল কলেজের পাঠ্যপুস্তকে বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী যোগ করতে শিক্ষামন্ত্রীকে আহ্বান জানান।
এশিয়ান জার্নালিস্ট হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড কালচার ফাউন্ডেশন (এজাহিকাফ) কর্তৃক এই আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- সাবেক মন্ত্রী এম নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, বিচারপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, কবি মো. আব্দুল খালেক, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রর শিল্পী আব্দুল জব্বার, সার্ক চলচ্চিত্র সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি রেদুয়ান খন্দকার প্রমূখ।
এমএইচ/আরএস/আরআইপি