হত্যাকারীদের চেহারা বানানোর চেষ্টা করছে ডিবি
ব্লগার নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায়ের (নিলয় নীল) হত্যাকারীদের চেহারা বানানোর চেষ্টা করছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এজন্য তারা নিলয়ের স্ত্রী, শ্যালিকা এবং গ্রেফতারকৃত দুই জঙ্গির সাহায্য নিচ্ছেন।
ডিবির পূর্ব জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাহবুব আলম জাগো নিউজকে জানান, নিলয়ের স্ত্রী আশা মনি ও শ্যালিকা তন্নি হত্যাকারীদের খুব কাছ থেকে দেখেছে। তাদের দেয়া বর্ণনা অনুযায়ী চেহারা বানানোর চেষ্টা করছি। তাদের বর্ণনা অনুযায়ী তৈরি চেহারা শনাক্তের জন্য গ্রেফতারকৃত জঙ্গিদের দেখানো হবে যে তারা তাদের চেনে কিনা।
এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত জঙ্গিরা পুলিশকে আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের সন্দেহভাজন ৪-৫ জনের নাম বলেছে। এরা ‘হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকতে পারে’ ধারণা করে রিমান্ডে জানিয়েছে তারা।
এর আগে ৭ আগস্ট শুক্রবার রাজধানীর গোড়ানের নিজ বাসায় ব্লগার নিলয়কে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। হত্যার পর এর দায় স্বীকার করে আনসার আল ইসলাম নামে একটি সংগঠন। তারা নিজেদের আল-কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখার (একিআইএস) অঙ্গ সংগঠন দাবি করে।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বৃহস্পতিবার আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের দুই সদস্য সাদ আল নাহিয়ান ও মাসুদ রানাকে গ্রেফতার করে ডিবি। আদালতে পাঠিয়ে তাদের ৮ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।
রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামিরা জানায়, গ্রেফতার হওয়ার আগ পর্যন্ত আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করতো। ‘ইসলামবিরোধী’ ব্লগারদের হত্যা করার জন্য আনসারুল্লাহর পরিকল্পনার সম্বন্ধে তারা শুনেছে। তবে কোন ব্লগারকে হত্যা করা হবে সে বিষয়ে তারা জানতো না।
ব্লগার নিলয় হত্যার সঙ্গে তাদের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই বলেও রিমান্ডে দাবি করে আসামিরা। মাহবুব আলম জাগো নিউজকে বলেন, রিমান্ডে নেয়া আসামিরা নিজেদের আনসারুল্লাহর স্লিপার সেলের সদস্য দাবি করে। তাই তারা কাউকে চেনে না। আনসারুল্লাহর কোন পরিকল্পনা সম্পর্কে স্পষ্টভাবে বলতে পারে না। নিলয় হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তাদের ‘নলেজে’ কিছু ছিলনা বলে দাবি করেছে তারা। তাদের দাবি, নিলয় হত্যাকাণ্ডে ‘সরাসরি’ জড়িত নন তারা।
মঙ্গলবার এই দুই জঙ্গিকে ৪র্থ দিনের মতো জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। রিমান্ডের প্রাপ্ত তথ্য সন্তোষজনক না হলে তাদের আরেকদফা রিমান্ডে নেয়ার আবেদন জানানো হবে বলে জাগো নিউজকে জানিয়েছেন ডিবির একজন তদন্ত কর্মকর্তা।
এআর/এসএইচএস/পিআর