ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

আদাবরে নিহত ২ : ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১০:২৬ পিএম, ১০ নভেম্বর ২০১৮

ঢাকার মোহাম্মদপুর ও আদাবরে সংঘর্ষের মধ্যে গাড়িচাপায় দুই কিশোরের মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেইসঙ্গে দুই দিনের মধ্যে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। এ তথ্য জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির সম্পাদকমণ্ডলীর এক জরুরি সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, একটা বিষয়, আজকে অনাকাঙ্ক্ষিত, অনভিপ্রেত একটা ঘটনা ঘটে গেছে আদাবরে। সে ব্যাপারে আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করেছি। তিনি আমাকে বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তার নির্দেশনা জানিয়ে দিতে। দুই দিনের মধ্যে এই ঘটনা তদন্ত করে রির্পোট জানতে চান প্রধানমন্ত্রী। যারাই দোষী হক। একটি চমৎকার শান্তিপূর্ণ পরিবেশে কেন অনাকাঙ্ক্ষিত মমার্ন্তিক ঘটনা ঘটলো। এ ব্যাপারে যারাই দায়ী হোক তাদের বিররুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে।

শনিবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর আদাবরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে পিকআপ ভ্যানচাপায় নিহত হন মোহাম্মদপুর নবীনগর হাউজিং এলাকার রুহুল আমীনের ছেলে সুজন (১৮)। তিনি নবীনগর হাউজিং এর ১০ নম্বর রোডের বাসিন্দা নুরুল আমিনের ছেলে। পেশায় রাজমিস্ত্রী ছিলেন। নিহত অপর কিশোরের নাম আরিফ (১৫)।

মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দিন মীর জানান, ‘শনিবার জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং সাদেক খানের গ্রুপ মনোনয়নপত্র নিতে যাচ্ছিলেন। পথে মোহাম্মদপুর নবোদয় হাউজিংয়ের সামনে তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এ সময় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সমর্থনে মিছিলে অংশ নেয়া পিকআপ ভ্যানের চাপায় সুজন ও আরিফ আহত হয়।

তিনি আরও জানান, পরে সুজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল ও আরিফকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক দু’জনকেই মৃত ঘোষণা করেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

রাস্তা আটকিয়ে সভা-সমাবেশ না করার পরামর্শ দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের বলে, আমাদের সভা-সমাবেশ রাস্তা বন্ধ করে হয় না, আমরা নরমালি কোনো সভা-সমাবেশ করলে শুক্র ও শনিবার করেছি, যেদিন ছুটির দিন ছিল। এটা সবাই মেনে চলি। সামনের হিউজ ট্রাফিক হবে ইলেকশনের পুরোপুরি আবহাওয়া সারা দেশে বিরাজ করছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের দাবি যথাসময়ে নির্বাচন। সংবিধান সম্মত নির্বাচন। এই তফসিল অনুযায়ী সুষ্ঠু- শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য এই তফসিল যথাযথ।

নির্বাচন পেছানোর বিষয়ে জানে ইসি

ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে নির্বাচন পেছানোর যে দাবি, তার সুযোগ আছে কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, সেটা নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানে। আমি যানি না।

নির্বাচন কমিশনের অভিমুখে পথযাত্রার মতো কর্মসূচি দেবে ঐক্যফ্রন্ট, এ ধরনের কর্মসূচি রাজনৈতিক সংঘাতের আশঙ্ক্ষা করছেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, সেটারও ব্যবস্থা নেবে নির্বাচন কমিশন। যদি তারা কোনো কর্মসূচি দেয়, যাতে স্ট্রিট হেজিটেশন হয়, তাহলে এটা নির্বাচনী আইন আচরণবিধির সঙ্গে মোটেও সামঞ্জস্য নয়। নির্বাচনী আইন ও আচরণবিধির সুস্পস্ট লঙ্ঘন। সে অবস্থায় এটার কী ব্যবস্থা নেবে, এটা নির্বাচন কমিশনের বিষয়।

আমরা ভালোর জন্য আশাবাদি। আমরা মনে করি ঐক্যফ্রন্ট, যুক্তফ্রন্ট ও জাতীয় পার্টি নির্বাচনে আসবে। শেষমেষ আরও কিছু পাওয়া যায় কি না, আরও কিছু ছাড় দেয় কি না সেজন্য তারা বিরোধীদল সুলভ হুঙ্কার দিচ্ছে। এখানে দরকষাষিরও একটা বিষয় আছে। তাই শেষ মুহূর্তে চেষ্টা করে দেখছে কিছু পাওয়া যাবে কি না।

যদি নির্বাচনের তফসিল না পেছানো হয় বিএনপি বা ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে না আসার কোন শঙ্কা আছে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন নির্বাচন রিলেটেড সব সিদ্ধান্তের মালিক নির্বাচন কমিশন। আমাদের কিছুই বলার নেই। যদি নির্বাচন কমিশন মনে করে তাদের দাবি ন্যায়সঙ্গত, সেটা তারা ডিসাইড করবে। আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো করণীয় নেই। আমরা চাই যথাসময়ে নির্বাচন। আমরা প্রস্তুত আছি।

তিনি বলেন, নির্বাচনের পথে অন্তরায় সৃষ্টিকারী, সহিংসতা বা নাশকতা যুক্ত হলে সেটারও প্রতিরোধ করার জন্য জনগণ ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আমরা প্রস্তুত।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এ কে এম এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, দফতর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন প্রমুখ।

এইউএ/জেডএ

আরও পড়ুন