অর্থ পাচার করলে দেশের সম্পদ বাজেয়াপ্ত
অর্থ পাচার প্রতিরোধ করতে অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনে সংশোধনী আনা হয়েছে। নতুন আইন মোতাবেক -বিদেশে অর্থ পাচার করলে, তা আইনে প্রমাণিত হলে দেশে সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে। এছাড়া জেল-জরিমানার বিধান তো থাকছেই।
সোমবার অর্থ পাচার প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন-২০১৫ চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এর অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভুইঞা সাংবাদিকদের বিস্তারিত তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, অর্থ পাচার প্রতিরোধ কার্যক্রম জোড়দার করতে ২০১২ সালের প্রণীত আইনটি সময়োপযোগী করার দরকার ছিলো। বিদ্যমান আইনে অর্থ পাচারের ২৮টি অপরাধে সবগুলো তদন্ত করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কিন্তু সংশোধিত আইনে ঘুষ ও দুর্নীতি ছাড়া সবগুলো অন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো তদন্ত করবে। বিদ্যমান আইনে অন্য সংস্থাগুলো তদন্ত করতে পারে কেবল দুদকের অনুমোদন সাপেক্ষে।
সচিব বলেন, এখন অন্য সংস্থাগুলো এককভাবে বা যৌথভাবে প্রয়োজনে অর্থ পাচার অপরাধ তদন্ত করতে পারবে।
সংবাদিকদের তিনি আরো বলেন, নতুন আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগকে শক্তিশালী করা হবে। এটি কার্যক্রম পরিচালনায় স্বাধীন সংস্থা হিসেবে চলবে। বর্তমানে এটি বাংলাদেশ ব্যাংকের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে। যার প্রধান আছেন একজন ডেপুটি গভর্নর। আর উপ প্রধান হিসেবে আছেন একজন নির্বাহী পরিচালক। নতুন আইনে সরকার এর প্রধান ও উপ প্রধান নিযুক্ত করবে। সংস্থাটির প্রধান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এর মাধ্যমে বাংলাদেশ অর্থ পাচার ও সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটির কাছে দায়বদ্ধ থাকবে।
সচিব বলেন, নতুন আইনে শাস্তি হিসেবে জেল ৪ থেকে ১২ বছরই থাকছে। তবে আর্থিক দণ্ড ১০ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ লাখ টাকা করা হয়েছে।
# মন্ত্রিসভায় নতুন দুই আইনের অনুমোদন
এসএ/আরএস/এমআরআই