ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

বাড্ডায় ৩ খুনের নেপথ্যে ঝুট ব্যবসা

প্রকাশিত: ০৮:৩২ এএম, ১৭ আগস্ট ২০১৫

রাজধানীর বাড্ডায় তিন খুনের ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। আসামিরা এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ঝুট ব্যবসায়ের নিয়ন্ত্রণ ও টাকা ভাগাভাগির কথা স্বীকার করেছেন। রোববার রাতে রাজধানীর বাড্ডা ও ভাটারা এলাকা থেকে  তাদের গ্রেফতার করা হয়।

আসামিরা হচ্ছেন, ফারুক মিলন ও নূর মোহাম্মদ। এদের মধ্যে নূর মোহাম্মদ ছাত্রলীগের কর্মী। তিনি সরাসরি কিলিং মিশনে অংশ নেন। ফারুক বাড্ডা থানা আওয়ামী লীগের নেতা। তিনি হত্যার পরিকল্পনায় অংশ নেন।

দুপুরে মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা এই  ট্রিপল মার্ডার এর নেপথ্যের কারণ, পরিকল্পনা ও হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের বর্ণনা এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রের বর্ণনাসহ সার্বিক বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে ও ঘটনার সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতা স্বীকার করেছে।

তিনি জানান, মূলত ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে মাহবুবুর রহমান গামাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এরই অংশ হিসেবে ৮ জনের একটি গ্রুপ কিলিং মিশনে অংশ নেয়। আগে বাড্ডা থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বাউল সুমন ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতো। তার মৃত্যুর পর ব্যবসায়ের নিয়ন্ত্রণ নেয় গামা। ব্যবসায়ের লভ্যাংশ সুমনের সন্তানদের দেয়া না দেয়া নিয়ে তাদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের ফলেই হত্যাকাণ্ডটি সংগঠিত হয়।

প্রসঙ্গত, ১৩ আগস্ট রাতে রাজধানীর বাড্ডায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে ৩ জন নিহত হয়। আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর কিলিং মিশনে অংশ নেয়া বেশ কয়েকজনের নাম ঠিকানা পেয়েছে পুলিশ। তাদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে বলে জানান মনিরুল ইসলাম।

এআর/এআরএস