ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

ইভিএম ব্যবহার বিধি চূড়ান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:১৯ পিএম, ০৪ নভেম্বর ২০১৮

একাদশ সংসদ নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিধিমালা চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে গতকালের (শনিবার) মুলতবি কমিশন বৈঠক রোববার বেলা ৩টায় ফের শুরু হয়। ওই বৈঠকে ইভিএম ব্যবহারের বিধি চূড়ান্ত করা হয়।

ইভিএম বিধিমালা চূড়ান্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব আবুল কাশেম।

বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদৎ হোসেন চৌধুরী উপস্থিত আছেন।

এর আগে গত সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের পাশাপাশি ইভিএমে ভোটগ্রহণের বিধান রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) সংশোধনীর প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়। ফলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভোটগ্রহণে ইভিএম ব্যবহার করতে পারবে।

আরপিও সংশোধনী অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের আগ পর্যন্ত খেলাপি ঋণ পরিশোধের সুযোগ রাখা হয়েছে। এতদিন মনোনয়নপত্র দাখিলের সাতদিন আগে প্রার্থীদের খেলাপি ঋণ পরিশোধ করতে হতো। এছাড়া বিদ্যমান ব্যবস্থার পাশাপাশি অনলাইনেও মনোনয়নপত্র দাখিল করা যাবে।

সংশোধিত আরপিওতে ইভিএমের অপব্যবহার করলে সর্বনিম্ন তিন বছর এবং সর্বোচ্চ সাত বছর কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। পর্যাপ্ত প্রস্তুতি ছাড়া ভোটগ্রহণে ইভিএমের ব্যবহার চালুর এ উদ্যোগ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। ইসি ৩০ আগস্ট আরপিও সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন করে।

সর্বশেষ গত বুধবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের পাশাপাশি ইভিএমে ভোটগ্রহণের বিধান রেখে আরপিও সংশোধনী আনা হয়। জাতীয় সংসদ অধিবেশন না থাকায় অধ্যাদেশের মাধ্যমে এই সংশোধনীতে গত বুধবার রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সই করেন।

স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে ইভিএম চালুর আট বছর পর প্রথমবারের মতো সংসদ নির্বাচনে এ প্রযুক্তি ব্যবহার হবে। ২০১০ সালের জুন মাসে স্বল্প পরিসরে চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে ইভিএম চালু হয়। ২০১৫ সালের এসে ওই ইভিএম বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে ডিজিটালাইজড সুবিধা সম্বলিত নতুন ইভিএম তৈরি করে ইসি। ২০১৬ সালে রংপুর সিটি নির্বাচনে তা চালু হয়। এর দু’বছরের মাথায় সংসদে নতুন প্রযুক্তিটি চালু হচ্ছে।

’জাতীয় সংসদ নির্বাচন ইভিএম বিধিমালা-২০১৮’ এ রিটার্নিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার, ভোটগণনা, ফল একীকরণসহ নানা বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে।

নির্বাচন কমিশন বলছে, আইনি ভিত্তি পাওয়ার পর স্বল্প পরিসরে এ প্রযুক্তি ব্যবহার হবে। কয়টি কেন্দ্রে ব্যবহার করা হবে তা কমিশনই চূড়ান্ত করবে। দ্বৈবচয়ন পদ্ধতিতে এসব কেন্দ্র বাছাই করা হবে বলে ইতোমধ্যে জানিয়েছেন সিইসি।

সিইসির জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে ভোটের তারিখ ও ইভিএম নিয়ে বিস্তারিত থাকবে বলে জানিয়েছেন ইসি কর্মকর্তারা।

যেভাবে ভোটে ইভিএম ব্যবহার

স্থানীয় নির্বাচনে এ ইভিএম ব্যবহার হয়েছে রংপুর, খুলনা, গাজীপুর ও বরিশাল সিটি নির্বাচনে। আঙুলের ছাপ, ভোটার নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর বা স্মার্ট পরিচয়পত্র ব্যবহার করে ভোট দেয়া যাবে। নির্দিষ্ট কেন্দ্রের ভোটকক্ষে একজন করে ভোটার ভেরিফিকেশন করবেন পোলিং অফিসার।

ডেটাবেজে ভোটার বৈধ হিসেবে শনাক্ত হলেই ভেরিফিকেশনের সঙ্গে যুক্ত প্রজেক্টের মাধ্যমে তা পোলিং এজেন্টের কাছে দৃশ্যমান হবে।
মেশিনটিতে কুইক রেসপন্স কোড QR CODE সহ আরও কিছু তথ্যসম্বলিত টোকেন মুদ্রণ করে ভোটারকে দেয়া হয়। ভোটার টোকেন নিয়ে সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তার কাছে এলে ভোটিং মেশিনের QR CODE স্ক্যানারের মাধ্যমে শনাক্ত করে গোপন কক্ষে থাকা তিনটি পদের জন্য ব্যালট ইউনিটে ব্যালট ইস্যু করা হবে।

ভোটার পছন্দের প্রার্থী ও প্রতীক দেখে বামদিকে বোতামে চাপ দিয়ে সিলেক্ট করবেন এবং ওই ব্যালট ইউনিটের সবুজ রংয়ের CONFIRM বোতাম চেপে তার ভোট শেষ করবেন। কখনো ভুলবশত কোনো প্রতীক সিলেক্ট করা হলে, ব্যালট ইউনিটের লাল রংয়ের CANCEL বোতাম চেপে পরবর্তীতে যে কোনো প্রার্থীকে আবার সিলেক্ট করা যাবে। এভাবে দুইবার CANCEL করা যাবে, তৃতীয়বার যেটি সিলেক্ট করা হবে সেটি বৈধ ভোট হিসেবে গৃহীত হবে।

জেইউ/বিএ/জেআইএম

আরও পড়ুন