শিল্পী বানিজুল হককে শ্রদ্ধাঞ্জলি
বাংলাদেশ চারুকলা শিক্ষার অন্যতম বিদ্যাপীঠ রাজশাহী চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ বানিজুল হকের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে `শ্রদ্ধাঞ্জলি’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালায় সোসাইটি অব ফাইন আর্টসের আয়োজনে এ শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, এ অগ্রগণ্য নিবেদিত প্রাণ চারু সংগঠক ও শিল্পী বানিজুল হক গত ২৫ জুলাই অনন্তের পথে চলে গেছেন। তুমি চলে গেছ দূরে বহুদূরে তবুও আছ অন্তস্তলের গভীরে, প্রতিটি নিঃশ্বাসে প্রশ্বাসে। বানিজুল হক ছিলেন একজন আদর্শ ও ব্যক্তিত্ববান মানুষ। নিঃস্বার্থ, নির্লোভী, ত্যাগী ও বিশাল প্রকৃতির ধৈর্যশীল মানুষ। হিংসা-বিদ্বেষ, লোভ-লালসা সব কিছুর ঊর্ধ্বে ছিলেন তিনি। নানা প্রতিকূলয়ার মধ্যে তিনি পথ চলেছেন তবুও কখনও ভেঙে পড়েননি, সাহস হারাননি। হাসিমুখে সব বাধা অতিক্রম করেছেন। তার দৃঢ় আত্মপ্রত্যয় ও ধৈর্য তাকে এগিয়ে নিয়ে গেছে।
বক্তারা বলেন, শিল্পী বানিজুল হক বাংলাদেশ চিত্রকলার জগতে একজন প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী। চিত্রকলার জগতে তিনি শুধু আঁকিয়ে নন, বাংলাদেশে আঁকিয়ে তৈরি করার পিছনে তার সাংগঠনিক দক্ষতা এ দেশের শিল্পাঙ্গনকে সমৃদ্ধ করেছে। প্রথমত চট্রগ্রামে চারুকলা কলেজের গোড়াপত্তনকালে শিল্পী বনিজুল হকের ইতিবাচক ভূমিকা এবং ১৯৭৮ সালে রাজশাহী চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয় (বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ) এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ হিসেবে উত্তরাঞ্চলের প্রথম এ চারুকলা শিক্ষাঙ্গন প্রতিষ্ঠার পেছনে তার অবদান অনস্বীকার্য।
সোসাইটি অব ফাইন আর্টসের সভাপতি কাজী গোলাম কিবরিয়ার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আবুল আসিফ মার্শালের সঞ্চালনায় শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং রাজশাহী চারু কারুকলা মহাবিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কামাল লোহানী, বাংলাদেশ স্কুল টেক্সট বুক বোর্ডের (অব.) চেয়ারম্যান মুহাম্মাদ এলতাস উদ্দিন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু তাহের, চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষক শিল্পী তরুণ ঘোষ, ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন আর্টস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আমান উল্লাহ, চট্রগ্রাম চারুকলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ সাবিহ উল আলম, শিল্পী বানিজুল হকের সহধর্মিণী সামশুন নাহার বিউটি, সোসাইটি অব ফাইন আর্টসের সদস্য সচিব খোরশেদ আলম চৌধুরী প্রমুখ।
এএস/এনডিএস/এমএস