সরকারের শেষ সময়ে চট্টগ্রাম পেল একগুচ্ছ স্বপ্ন
# চট্টগ্রামের বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্পসহ ১৪টি প্রকল্পের উদ্বোধন
# পাঁচটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
# প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে পাল্টে যাবে চট্টগ্রামের চেহারা
হাজার বছরের ব্যবসায়িক ঐতিহ্য থাকার পরও চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক রাজধানী তকমাটি উপহাসের মতোই মনে হতো বন্দরনগরীর মানুষের কাছে। অভিমান ভরা বুকে গত চার দশক ছিল না পাওয়ার বেদনা। তবে গত দশ বছরে আমূল পরিবর্তন হয়েছে চট্টগ্রাম। পরিবর্তনের ধারা অব্যাহত থাকবে সেই আশা দিয়ে সরকারের শেষ সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ (বৃহস্পতিবার) চট্টগ্রামকে উপহার দিলেন একগুচ্ছ স্বপ্নপ্রকল্প।
সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চট্টগ্রামের বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্পসহ ১৪ প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ৫টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। যা বাস্তবায়ন হলে পাল্টে যাবে চট্টগ্রামের চেহারা। পাশাপাশি প্রকল্পগুলো দেশের অর্থনীতিতে রাখবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে
চট্টগ্রামের লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ হবে। বিমানবন্দর ছাড়াও পতেঙ্গায় নৌ ও বিমান ঘাঁটিসহ সরকারি অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে। এসব বিবেচনায় যানজট এবং জনদুর্ভোগ কমাতে তিন ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে এ মেগাপ্রকল্প।
বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এর পরপরই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে বলে জানান সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি নগরের প্রধান সড়কের আখতারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওভারের সঙ্গে যুক্ত হবে। ১৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মিত হলে চট্টগ্রাম শহর এবং এর দক্ষিণে সঙ্গে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার সৃষ্টি হবে। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৭৫০ কোটি ৪০ লাখ ১৫ হাজার টাকা।
বে-টার্মিনাল
বর্তমান সরকারের গত মেয়াদে হাতে নেওয়া প্রকল্পগুলোর একটি বে-টার্মিনাল নির্মাণ। ছয় বছর আগে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকারভিত্তিক এ প্রকল্প হাতে নিলেও নানা জটিলতায় তা শুরু হয়নি। তবে সরকারের শেষ সময়ে এসে বে-টার্মিনালের কাজ শুরু হচ্ছে।
বে-টার্মিনাল নির্মাণের পেছনে রয়েছে চট্টগ্রামকে আগামী একশ বছরের বন্দর হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ। পতেঙ্গায় ৯০৭ একর জমির ওপর ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ এ টার্মিনাল নির্মাণ হলে চট্টগ্রাম বন্দরের আমদানি-রফতানি কার্যক্রমে গতি আসার পাশাপাশি কমবে জাহাজের অপেক্ষমাণ সময়। কমবে পণ্যের আমদানি-রফতানি ব্যয়ও।
নগরীর হালিশহর উপকূলে সাগরের বুকে জেগে ওঠা চর এবং চ্যানেল ব্যবহার করে বে-টার্মিনাল নির্মাণের কার্যক্রম শুরু হচ্ছে আজ (১ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার) থেকে। সকালে বে-টার্মিনালের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর পরেই বে-টার্মিনালে ড্রেজিং করে মাটি ভরাটের কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। গত মঙ্গলবার বে-টার্মিনালের জন্য ৬৮ একর ভূমি বন্দর কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দিয়েছে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসন।
চাক্তাই খাল থেকে কালুরঘাট সেতু পর্যন্ত সড়ক
চট্টগ্রাম নগরের নিম্নাঞ্চলগুলোর একটি কর্ণফুলি নদীর চাক্তাই-কালুরঘাট তীর। এ বিশাল এলাকায় কালুরঘাট ভারী শিল্প এলাকাসহ রয়েছে অনেক শিল্প কারখানা। নগরীর বিস্তৃত এলাকাকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত এবং জীবনযাত্রাসহ সার্বিক চেহারা পাল্টে দেয়ার লক্ষ্যে সরকার কালুরঘাট থেকে চাক্তাই খাল পর্যন্ত শহর রক্ষা বাঁধ প্রকল্প গ্রহণ করে। যার ব্যয় ধারা হয়েছে ২ হাজার ২৭৫ কোটি ৫২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আজ (বৃহস্পতিবার) নগরের অন্যতম এই বড় প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ‘কর্ণফুলী নদীর তীর বরাবর চাক্তাই খাল থেকে কালুরঘাট সেতু পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ’ শিরোনামের এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে নগরীর বড় একটি অংশের জলাবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে।
৮ দশমিক ৫৫ কিলোমিটার লম্বা এ প্রকল্পে চারলেনের সড়ক থাকবে। সমুদ্র সমতল থেকে ২৪ ফুট উঁচু, রাস্তার নীচে ২৫০ ফুট চওড়া ও উপরিভাগে ৮০ ফুট চওড়া হবে এ সড়কটি। এটি শহরের আউটার রিং রোডেরও অংশ।
সড়কের ১২টি খালের মুখে রেগুলেটর এবং পাম্প হাউস নির্মাণ করা হবে, যাতে পানি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ২ লাখ ১২ হাজার ৫শ’ বর্গমিটার প্রতিরোধক দিয়ে ঢালু প্রতিরোধ, তীর সংরক্ষণ ও সড়ক নির্মাণের জন্য প্রায় ৫৫ লাখ ঘন মিটার মাটি ভরাট করা হবে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে নগরীতে জোয়ার ও বৃষ্টির পানিতে বর্তমানে যে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে, তা বহুলাংশে অবসান হবে উল্লেখ করে সিডিএর কর্মকর্তারা বলেন, আগ্রাবাদ, নিউ মার্কেট ও কোতোয়ালী এলাকার যানবাহনসমূহ শহরের ভেতরের সড়কগুলো ব্যবহার না করে কর্ণফুলীর তীরবর্তী এ সড়ক দিয়ে অল্প সময়ে নগরীর উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে যাতায়াত করতে পারবে।
তিনি আরও জানান, এ ছাড়া শহরের উত্তর ও উত্তর-পূর্ব অংশ ও কাপ্তাই হতে যানবাহনগুলো শহরের প্রধান সড়কসমূহ বাইপাস করে শাহ আমানত সেতু ব্যবহার করে দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারা, বাঁশখালী ও কঙবাজারে দ্রুত পৌঁছে যাবে। ফলে যানজট থেকে নগরবাসীর মুক্তি মিলবে অনেকাংশে।
সিটি আউটার রিং রোড
নগরীর পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত চিটাগাং সিটি আউটার রিং রোডের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ। ১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ৩৩ ফুট উচু সড়কটি চালু হলে নগরবাসী যানজটের যন্ত্রণা থেকে অনেকটা রেহাই পাবেন বলে আশা করছেন প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা সিডিএ।
আজ সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ সড়কটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘সিটি আউটার রিং রোড ও বেড়িবাঁধ নির্মাণ প্রকল্পটি কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নিমির্তব্য টানেলের এ পাড়ের সংযোগ সড়ক। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হওয়ায় নগরের যানজট প্রায় অর্ধেকে নেমে আসবে।’
তিনি বলেন, ‘সড়কটিতে ইপিজেটের সঙ্গে সংযোগ সড়ক রয়েছে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম বন্দর ও বিমানবন্দরগামী সব ধরনের যানবাহন অনায়াসে এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে পারবে। নগরীর যানজট নিরসনে ভরসা হিসেবে কাজ করবে এ সড়কটি। বিমানবন্দর সড়কের চাপও কমবে।’
সিডিএ সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা জাইকা নগরীর পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত বেড়িবাঁধের উপর আউটার রিং রোড নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু করে। দুই বছর সম্ভাব্যতা যাচাই শেষে এ প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থের যোগান দিতে সম্মত হয়।
সীতাকুণ্ড গালফ্রা হাবিব বিএমআরই প্রকল্প
দেশের সরকারি-বেসরকারি প্রায় ২০০টি পাটকলের জন্য একটি মাত্র যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান সীতাকুণ্ডের গালফ্রা হাবিব। নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও প্রতিষ্ঠানটি তার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। যন্ত্রাংশ প্রস্তুতের জন্য বিদেশ থেকে মেশিনারি ও পিগ আয়রন আমদানি করতে হতো। এখন প্রতিষ্ঠানটির আধুনিকায়ন করে উৎপাদন ক্ষমতা বাড়িয়ে লাভজনক করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
সীতাকুণ্ডের গালফ্রা হাবিব লিমিটেডে বিএমআরই প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রায় ২৭৯ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয় হবে প্রকল্পটিতে। ২০২০ সালের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। গণভবন থেকে আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাঙ্গুনিয়ার কেএফডি লিমিটেডের আধুনিকায়ন
২০০৭ সালে বিজেএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন চট্টগ্রামের কর্ণফুলী জুটমিল ফোরাত কার্পেট মিল ডেকোরেটিভ ফেব্রিক্স লিমিটেডসহ (কেএফডি) আরও চারটি পাটকল লোকসানের কারণে বন্ধ ঘোষণা করে সে সময়ের সরকার। মহাজোট সরকার ক্ষমতায় এসে আবারও সচল করে কেএফডি। বর্তমানে কেএফডিতে প্রায় ৮০০ শ্রমিক কর্মরত আছেন। এর মধ্যে নারী শ্রমিক তিন শতাধিক।
বর্তমান সরকারের ক্ষমতার শেষ সময়ে এসে কর্ণফুলী জুটমিল ফোরাত কার্পেট মিল ডেকোরেটিভ ফেব্রিক্স লিমিটেডের (কেএফডি) বহুমুখী ইউনিটের উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। এ প্রকল্পটিও ২০২০ সালের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। আজ গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রকল্পের আধুনিকায়নের ভিত্তি স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে ‘বঙ্গবন্ধু হল’
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে নবনির্মিত ‘বঙ্গবন্ধু হল’ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে নির্মিত বঙ্গবন্ধু হলটি সর্বাধুনিক সুবিধা সম্বলিত। নগরীর জামালখানে অবস্থিত প্রেস ক্লাব ভবনের নবম তলায় নির্মাণ করা হয়েছে এ অত্যাধুনিক ‘বঙ্গবন্ধু হল’।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের অর্থায়নে অত্যাধুনিক হলটি নির্মাণ করা হয়েছে। আড়াই শতাধিক আসন বিশিষ্ট ডুপ্লেক্স হলটিতে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। আজ বঙ্গবন্ধু হলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর সর্ব সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
বাঁশখালীর নতুন আদালত ভবন ও ফায়ার সার্ভিস স্টেশন
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাঁশখালীতে নবনির্মিত আদালত ভবন ও ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের আনুষ্ঠানিক ফলক উন্মোচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
বাঁশখালী উপজেলা সদরে গণপূর্ত অধিদফতরের টেন্ডারে ৬ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৪ তলা ফাউন্ডেশনে নবনির্মিত আদালত ভবনের ১ম তলার কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং ১ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে।
আনোয়ারা, সাতকানিয়া ও চন্দনাইশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন
দেশের ১০২টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের কর্মসূচির আওতায় আনোয়ারা, সাতকানিয়া ও চন্দনাইশ উপজেলার শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা হয়েছে। গণভবন থেকে আজ সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব উদ্বোধন করেন।
চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ (পটিয়া) এর জিএম আবু বকর সিদ্দীকী জানান, দক্ষিণ চট্টগ্রামের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ (পটিয়া) এর আওতায় আনোয়ারা উপজেলায় ১১টি ইউনিয়নের ৮০টি গ্রামে ৬২ হাজার ৩টি সংযোগ প্রদান করা হয়েছে। চন্দনাইশ ১০ ইউনিয়নে ৩৮টি গ্রামে ৫২ হাজার ৬৭২টি গ্রাহককে সংযোগ দেয়া হয়েছে। সাতকানিয়া উপজেলায় ১৭ ইউনিয়নে ৬৬টি গ্রামে ৫৪ হাজার ৫৪০টি গ্রাহককে সংযোগ দেয়া হয়েছে।
রাঙ্গুনিয়ায় মুক্তমঞ্চ ও শতভাগ বিদ্যুতায়ন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের উদ্বোধন করেন। এ ছাড়া উপজেলা সদর ইছাখালীতে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে নির্মিত আধুনিক সুবিধা সম্বলিত শিল্পকলা একাডেমির মুক্তমঞ্চের উদ্বোধন করেন তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান জানান, রাঙ্গুনিয়ার ১৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা এলাকা চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর মাধ্যমে ইতোমধ্যে শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় আনা হয়েছে।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, সীতাকুন্ড জুট মিলস, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি, সীতাকুন্ড উপজেলার সম্প্রসারিত প্রশাসনিক ভবন ও হলরুম, চট্টগ্রাম বন্দরে তিনটি শিপ টু শোর গ্যান্ট্রি ক্রেন, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের নতুন জাহাজ এমভি বাংলার জয়যাত্রা, পটিয়ায় দুগ্ধ কারখানার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরএস/আরআইপি