যাকে নৌকা দিব তাকেই বিজয়ী করবেন : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরেকটিবার নৌকায় ভোট দেয়ার জন্য বরগুনাবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, যাকে নৌকা মার্কা দিয়ে পাঠাবো তাকেই ভোট দিয়ে আপনারা বিজয়ী করবেন। এজন্য দু’হাত তুলে তিনি ওয়াদা করান। তিনি বলেন, আপনারা নৌকায় ভোট দেবেন, আপনাদের উন্নত জীবন দেব। একটি মানুষ গৃহহারা থাকবে না। একটি মানুষ ক্ষুধার্ত থাকবে না। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ বিশ্বসভায় মাথা উঁচু করে চলবে। বাংলার মানুষের ভাগ্য গড়তে নিজেকে উৎসর্গ করেছি।
শনিবার বরগুনার তালতলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
জনসভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু প্রমুখ।
শেখ হাসিনা বলেন, এই অঞ্চল ছিল অবহেলিত। আজ বরগুনার তালতলীবাসীর মধ্যে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। আজ এ এলাকার ২১টি প্রকল্প উদ্বোধন করছি। এছাড়া বরগুনাবাসীকে জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষার জন্য বাঁধ নির্মাণ করা হবে। এলাকায় জাহাজ নির্মাণ শিল্প ও জাহাজ ভাঙা শিল্প গড়ে তোলা হবে। এ শিল্প গড়ে তুলতে পারলে অনেকের কর্মসংস্থান হবে এই শিল্পে। দক্ষিণাঞ্চলকে ঘিরে যে উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে, তাতে দক্ষিণাঞ্চলের অন্ধকার দূর হয়ে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রতিটি গ্রামকে শহর হিসেবে গড়ে তুলব। লার্নিং অ্যান্ড আর্নিংয়ের মাধ্যমে গ্রামের ছেলেরা আজ ঘরে বসে বিদেশিদের সঙ্গে কথা বলে কাজ করে পয়সা ইনকাম করছে। তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে। এভাবে আমরা ক্রমান্বয়ে শহরের সব সুযোগ-সুবিধা গ্রামে গড়ে তুলব।
তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় আসার পর বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা দিচ্ছি। প্রাথমিক স্কুলের বই ফ্রি দিচ্ছি। উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত আমরা বৃত্তি প্রদান করছি। দুই কোটি চার লাখ শিক্ষার্থীকে ভাতা-উপবৃত্তি দিচ্ছি। উপবৃত্তির টাকা মায়েদের মোবাইলে প্রেরণ করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী পালন করব। ২০২১ সালে আমরা ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়ব। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হবে। ২১০০ সালে দেশ কেমন হবে সেজন্য ডেল্টা প্ল্যান করা হচ্ছে।
এফএইচএস/জেএইচ/জেআইএম