নৌকায় ভোট দিলে সুখ-সমৃদ্ধি দুটোই পাবেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নৌকায় ভোট দিলে সুখ-সমৃদ্ধি দুটোই পাবেন। পটুয়াখালীতে জনতার উদ্দেশ্যে দেয়া বক্তব্যে নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নৌকায় ভোট দিলে সুখ ও সমৃদ্ধি দুটোই পাবেন। এলাকার উন্নয়ন ও লোকজনের কর্মসংস্থান হবে।’
তিনি বলেন, ‘সমুদ্র সম্পদ আহরণকে কেন্দ্র করে বিশাল কর্মযজ্ঞ গড়ে উঠবে। পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র গড়ে উঠবে। সব মিলিয়ে এ অঞ্চল আর অবহেলিত থাকবে না।’
শনিবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে পায়রা বন্দরে পৌঁছে বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প ও বয়লার টাওয়ার পরিদর্শন করেন। পরে ১৬টি প্রকল্প উদ্বোধন এবং পাঁচটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘দুই টার্ম (১০ বছর) আমরা রাষ্ট্র পরিচালনা করেছি। সারাদেশেই উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। প্রতিটি এলাকায় মানুষ যেন ভালোভাবে চলতে পারে সেটা করতে সক্ষম হয়েছি। বিদ্যুৎ উৎপাদন ২০ হাজার মেগাওয়াটে বৃদ্ধি করেছি। এখানে যে বিদ্যুৎকেন্দ্র হচ্ছে সেখান থেকে ১৩০০ মেগাওয়াট বিদুৎ উৎপাদন হবে। শুধু ঘরে বিদ্যুৎ যাবে না, এ বিদ্যুৎ শিল্প কলকারখানায়ও যাবে। কৃষি যান্ত্রিকীকরণ করব, সেখানে বিদ্যুতের প্রয়োজন হবে। ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ সৃষ্টি হবে।’
তিনি বলেন, ‘এ অঞ্চলের মানুষ কখনও কষ্ট পাবে না। তাদের জীবনমান উন্নত হবে। সে লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি। ভবিষ্যতে এ অঞ্চলকে ঘিরে আরও পরিকল্পনা আছে। এখানে এলএনজি স্টেশন গড়ে উঠবে। ৩০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে তুলতে যা কিছু করা দরকার তা করা হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রকল্প করতে গিয়ে যাদের কাছ থেকে জমি নিয়েছি তাদের তিনগুণ দাম পরিশোধ করেছি। বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য যে ১৩০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের প্রত্যেককে ঘর তৈরি করে দিয়েছি। তারা পরিবার নিয়ে যেন ভালোভাবে খেতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করেছি। উন্নয়ন করতে গিয়ে কোনো মানুষ যেন কষ্ট না পায়, তাদের জীবনমান যেন কখনও হুমকিতে না পড়ে। তাদের জীবনমান যেন আরও উন্নত হয়। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই কাজ করে যাচ্ছি। এখানে রাস্তাঘাট, খেলার মাঠ, স্কুল, মসজিদ, কাঁচাবাজার, টিউবওয়েল, পুকুর, কমিউনিটি সেন্টার, কমিউনিটি ক্লিনিক, দোকানপাট এবং প্রত্যেক বাড়িতে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্দেশ দিয়েছি একটি সাইক্লোন শেল্টার এখানে গড়ে উঠবে। মাল্টিপারপাস সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ করা হবে। পায়রা বন্দরেও একটি সাইক্লোন শেল্টার গড়ে উঠবে। স্বপ্নের ঠিকানা দিয়ে যে বাড়িগুলো গড়ে তুলেছি সেখানে যারা বসবাস করবেন তারা সুন্দরভাবে থাকতে পারবেন। এখানে বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে এলাকার লোকজনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। এ অঞ্চলে একটি নৌবাহিনীর ঘাঁটি হচ্ছে। পাশাপাশি একটি সেনানিবাস করে দিচ্ছি। দক্ষিণে একটি বিমানবাহিনীরও ঘাঁটি হচ্ছে। এ অঞ্চল সব সময় অবহেলিত ছিল। তাই এ অঞ্চলকে ঘিরে নানা পরিকল্পনা রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা পেয়েছি বিশাল সমুদ্রসীমা। এ সমুদ্র সম্পদ আমরা কাজে লাগাব। ব্লু ইকোনমি পরিকল্পনা ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছি। সমুদ্র সম্পদ আর্থসামাজিক উন্নয়নে যাতে কাজে লাগে সে ব্যবস্থা করবো। পাশাপাশি নদীগুলো ড্রেজিংয়ের ব্যবস্থা আমরা করেছি।’
এফএইচএস/এএইচ/জেআইএম