আজিমপুর পুরাতন কবরস্থানে সংস্কারের ঢেউ
বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলের শেষ সময়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) আওতাধীন রাজধানীর আজিমপুর পুরাতন কবরস্থানে উন্নয়ন সংস্কারের ঢেউ উঠেছে। বহু বছরের পুরাতন এ কবরস্থানে উঁচু প্রাচীর, ছাউনি এবং রাস্তা সংস্কার করা হচ্ছে।
নীলক্ষেত মোড় থেকে পশ্চিম দিকে এগিয়ে গেলেই কবরস্থানের দেয়াল ঘেঁষে ফুটপাতের অনেকটা জায়গায় বাঁশ আর টিনে ঘেরা স্থাপনা চোখে পড়ে। কবরস্থানের ভেতরে সংস্কার কাজে শ্রমিকদের থাকার জন্য এ স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি ফুটপাত ও রাস্তায় ইট, বালু ও সিমেন্ট মিশিয়ে বড় বড় স্লাব তৈরি করা হচ্ছে। কবরস্থানের উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে যাওয়ার রাস্তায় প্রাচীন আমলে নির্মিত ছাউনি ভেঙে ফেলা হচ্ছে।
কবরস্থানের মাঝামাঝি যেখানটায় মরদেহের জানাজা ও গোসল করানো হয় ঠিক তার অদূরেই টিনের বেড়া দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে সরেজমিন পরিদর্শনকালে জানা যায়, বহু বছরের পুরাতন এ কবরস্থানে উঁচু প্রাচীর, ছাউনি এবং পূর্ব ও পশ্চিম পাশের রাস্তা ব্যাপক সংস্কার কাজ হবে।
বর্ষাকালে যেন কবরস্থানে পানি না জমে সে জন্য রাস্তার নীচ দিয়ে পাইপ বসিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে এসব সংস্কার কাজ করতে গিয়ে বিশেষ করে রাস্তার দু’পাশ বড় করতে গিয়ে অনেক কবর বিলীন হতে পারে বলে অাশঙ্কা করা হচ্ছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে রাস্তা ভেঙে বড় করার কাজ শুরু হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডিএসসিসির একাধিক কর্মকর্তা বলেন, বহু বছরের পুরনো এ কবরস্থানের সীমানা প্রাচীরের ভঙ্গুর দশা। দু’পাশের সরু রাস্তা দিয়ে মরদেহের খাটিয়া নিয়ে স্বজনরা হেঁটে যেতে পারেন না। তাই উন্নয়নমূলক সংস্কার কাজ করা হচ্ছে।
তারা আরও বলেন, বিশেষ করে বর্ষাকালে পানি জমে থাকায় মারাত্মক দুর্ভোগ হয়। নগরবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। রাস্তার কাজ করতে গিয়ে দু’পাশের কবরের কিছু অংশ ভাঙার প্রয়োজন হতে পারে। তবে বৃহত্তর স্বার্থে এতটুকু ছাড়ের মানসিকতা থাকতে হবে।
এমইউ/আরএস/এমএস
আরও পড়ুন
সর্বশেষ - জাতীয়
- ১ বড়দিন উপলক্ষে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা অনুদান
- ২ গণভবনে জুলাই অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব অনুমোদন
- ৩ বঞ্চিত ৭৬৪ কর্মকর্তাকে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দিচ্ছে সরকার
- ৪ ২৩ অতিরিক্ত ও সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে বদলি
- ৫ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে চিঠি: ভারতের এখনো কোনো উত্তর মেলেনি