ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

বিমানের ক্যাজুয়াল শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী করার সিদ্ধান্ত

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১০:০৭ পিএম, ২৩ অক্টোবর ২০১৮

সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিমানের ক্যাজুয়াল শ্রমিকদের স্থায়ীকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিচালনা পর্ষদ। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টায় শেষ হয় পরিচালনা পর্ষদ সভা। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, পর্ষদ সভায় সব ক্যাজুয়াল শ্রমিকের চাকরি স্থায়ীকরণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

স্থায়ী শ্রমিকদের কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেয়া হবে সেজন্য তিন সদস্যের একটি সাব কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি স্থায়ী হওয়া ক্যাজুয়াল শ্রমিকদের বিষয়ে একটি সারসংক্ষেপ আগামী বোর্ড সভায় উপস্থাপন করবে।

এদিকে বোর্ডসভায় চাকরি স্থায়ী হওয়ার খবর মুহূর্তে ক্যাজুয়াল শ্রমিকদের কানে পৌঁছে যায়। তারা বিমান শ্রমিক লীগ সভাপতি মসিকুরের কাছে হাজির হয়ে তাকে ধন্যবাদ জানান। সবার মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করেন।

উল্লেখ্য, চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে গত ৩০ সেপ্টেম্বর কর্মবিরতি পালন ও বিমানের প্রধান কার্যালয় বলাকা ঘেরাও করেন বিমানের ক্যাজুয়াল শ্রমিকরা। সেদিন প্রায় দেড় হাজার ক্যাজুয়াল শ্রমিক বিমান ও বিমানবন্দরের কাজ ফেলে বিমান কার্যালয় ঘেরাও করেছিলেন। ক্যাজুয়ালদের এই অান্দোলনের সঙ্গে বিমান শ্রমিক লীগ সভাপতি মসিকুর রহমানের নেতৃত্বে শ্রমিক লীগ একাত্মতা প্রকাশ করে।

ওইদিন বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এ এম মোসাদ্দিক আহমেদের আশ্বাসের পর তারা কাজে ফিরে যান। বিমানের এমডি বিষয়টি বোর্ডসভায় উপস্থাপন করে চাকরি স্থায়ীকরণ চূড়ান্ত করবেন বলে শ্রমিকদের আশ্বাস দিলে তারা আন্দোলন স্থগিত করেন।

বিমান সূত্রে জানা গেছে, মূলত বিমানের কার্গো সার্ভিস, ট্রাফিক বিভাগ, ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, গ্রাউন্ড সার্ভিস, মোটর ট্রান্সপোর্ট বিভাগে ক্যাজুয়াল শ্রমিক বেশি। বিমানে প্রায় দুই হাজার ২০০ ক্যাজুয়াল শ্রমিক আছে। এর মধ্যে ৭০০ জন ১০ দিনের মেয়াদে চুক্তিতে নিয়োগ পান। বাকিরা ৮৯ দিনের চুক্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত।

১০ দিনের মেয়াদ শেষ হলেই ১১তম দিনে একজন ক্যাজুয়াল শ্রমিককে বাধ্যতামূলক ছুটিতে থাকতে হয়। এরপর পুনরায় আবার ১০ দিন মেয়াদে চুক্তিতে নিয়োগ দেয়া হয়। একইভাবে ৮৯ দিন মেয়াদে ক্যাজুয়াল শ্রমিকদের ৯০তম দিনে বাধ্যতামূলক ছুটিতে যেতে হয়। এরপর পুনরায় ৮৯ দিন মেয়াদে চুক্তিতে নিয়োগ দেয়া হয়। চাকরি স্থায়ী হলে ক্যাজুয়াল শ্রমিকদের এ দৈন্যদশার অবসান ঘটবে।

আরএম/এসএইচএস/এমএস

আরও পড়ুন