প্রযুক্তিতে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল। প্রযুক্তির দিক থেকে গত ১০ বছরে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। তবে প্রযুক্তি হলো বহমান নদীর মতো। প্রতিনিয়ত এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে।’
রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি সার্ভিসের (এমএনপিএস) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সারাদেশে ২৮টি হাইটেক পার্ক করছি। গাজীপুরে ৩৫৫একর জমির ওপর হাইটেক সিটি হচ্ছে। এখানে বিদেশিরা বিনিয়োগ করবে। এসবের মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যা যা করা দরকার আমরা তার সব কিছু করবো।’
তিনি বলেন, ‘বিদেশে যখন রাত, আমাদের এখানে তখন দিন। আমাদের ছেলেরা এই সময়ের ব্যবধানকে কাজে লাগিয়ে অর্থ রোজগার করতে পারছে। বাংলাদেশের তরুণরা লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং এর মাধ্যমে সারাবিশ্বে কাজ করতে পারছে। আমাদের তরুণরা অন্ধকার থেকে আলোর পথে এসেছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের বদৌলতে আজ আমার একটা ঘণ্টা সময়ও নষ্ট হয় না। আমি যখন বিদেশে থাকি দেশ থেকে ফাইল যায় এবং সেগুলো দেখে সই করি। আমরা ফাইভ-জি’র দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের তরুণদের আর পরমুখী হতে হবে না। একটি অ্যাপসে নয়টি ভাষা দেয়া আছে। এখান থেকে ভাষা শিখে
তরুণরা যেকোনো দেশে আউট সোর্সিং করে টাকা ইনকাম করতে পারছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘৯১ সালে একটি কম্পিউটার কিনতে লাগতো সাড়ে তিন লাখ টাকা। একটা মোবাইল কিনতে লাগতো এক লাখ টাকা। এর এখন কত লাগে সেটাতো দেখতেই পাচ্ছেন।’
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে এমএনপিএস এর ওপর একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মূখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
এই সার্ভিস উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে মূলত মোবাইল ব্যহারকারী গ্রাহকরা স্বাধীনতা পেল। আজ থেকে যেকোনো গ্রাহক যেকোনো সময় মোবাইল নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর পরিবর্তন করতে পারবেন।
এফএইচএস/এমবিআর/আরআইপি