বেপরোয়া গাড়ি মুহূর্তেই কেড়ে নিল তাজা প্রাণ
সপ্তাহজুড়ে নিজের হাইস গাড়ি চালায়। শুক্রবার (১৯ অক্টোবর) ছুটির দিন সকালে গাড়ি রেখে মোটরসাইকেল নিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছিল ২৯ বছরের যুবক মো. রায়হানুল ইসলাম। তবে মুহূর্তেই তার জীবন আর স্বপ্ন চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেয় একটি বেপরোয়া গাড়ি। সড়কে তখন শুধু ছিল রায়হানুলের নিথর দেহ আর তাজা রক্ত। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার।
শুক্রবার সকালে গুলশান ২ নম্বরের ১৮৪ নম্বর সড়কে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের সামনে ঘটে এ দুর্ঘটনা।
বেপরোয়া গাড়িটি রায়হানুলের মোটরসাইকেলকে ডান পাশ থেকে থাক্কা দেয়। মুহূর্তেই প্রাণ যায় তার। পেশায় রায়হানুল একজন গাড়িচালক।
গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাহিদ জানান, ‘বেপরোয়া গাড়িটি তাকে ধাক্কা দিয়ে পালাতে গেলে উপস্থিত লোকজন গাড়িটি আটকে চালককে পুলিশে দেয়। পরিবারের লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই সরাসরি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
নিহত রায়হানুলের ভাতিজা নাহিদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘রায়হানুল মহাখালীর টিবি গেইট এলাকার ‘চ’ ব্লকে তার দুই বোন ও মা-বাবার সঙ্গে থাকতো। তার বাবা চাকরি করেন। সে একজন কোরআনের হাফেজ। পরিবারে রায়হানুল বড় ছেলে ছিল। তার মেঝো বোন ফারিহা এসএসসি পরীক্ষার্থী এবং ছোট বোন সৌদা পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। মরদেহ বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।’
এদিকে সন্তানের মৃত্যুতে রায়হানুলের মা শোকে মূহ্যমান রাজধানীর ইমপালস হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
নাহিদ জানান, ‘অতিরিক্ত কান্নাকাটির কারণে তার প্রেসার বেড়ে গেছে, ঘুমাতে পারছেন না, থেমে থেমে কাঁদছেন। তাই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
গুলশান থানার ডিউটি অফিসার এসআই আতিক জাগো নিউজকে বলেন, ‘ঘাতক ঢাকা মেট্রো-গ- ১৯-৬৪৬২ নম্বরের প্রাইভেটকারের চালক আব্দুল মামুনকে থানায় রাখা হয়েছে। শনিবার তার বিরুদ্ধে সড়ক নিরাপত্তা আইনে মামলা করে আদালতে নেয়া হবে। এ ছাড়াও গাড়িটিও থানায় জব্দ রয়েছে।
এআর/এএইচ/এমএমজেড