এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ শুরু রোববার
রোববার থেকে শুরু হচ্ছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ। সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর এলাকায় এর উদ্বোধন করবেন বলে জানা গেছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১১ হাজার ৪০৫ কোটি টাকা।
জানা গেছে, ২০১১ সালে ইতালিয়ান-থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেড নামক জয়েন্ট ভেঞ্চার নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যখন বাংলাদেশ সরকারের প্রথম চুক্তি হয়, তখন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছিল ১১ হাজার ১০ কোটি টাকা।
কিন্তু সময়মতো কাজ না হওয়ায় ২০১৩ সালে এ ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১১ হাজার ৪০৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের ব্যয় হবে ৮ হাজার ৯৪০ কোটি ১৮ লাখ টাকা। বাংলাদেশ সরকারের ব্যয় হবে ২ হাজার ৪৬৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও সেতু বিভাগের সচিব এমএএন সিদ্দিক জাগো নিউজকে বলেন, বোববার আনুষ্ঠানিক ভাবে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ শুরু হচ্ছে।
ঢাকাবাসীর যাতায়াত সহজ করতে বিমানবন্দর থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয় ২০১১ সালে।
ওই বছরের ১৯ জানুয়ারি প্রথম চুক্তি সম্পাদন হয় নির্মাণ-প্রতিষ্ঠান ইতালিয়ান-থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে। চুক্তির পরপরই কাজ শুরু হওয়া কথা। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান কিছুই করতে পারেনি।
এরপর ২০১৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর সরকার আবারও চুক্তি করে একই নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। এতে প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধি পায় ৩৯৫ কোটি টাকা। এরপর দেড় বছরেরও বেশি সময় পার হয়ে গেছে। এমনকি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বেঁধে দেওয়া সময়ও একাধিকবার পার হয়েছে।
সূত্র বলছে, জমি অধিগ্রহণ নিয়ে স্থানীয়রা বিরোধিতা শুরু করলে জটিলতা দেখা দেয়। এর ফলে নকশা পরিবর্তন করা হয়েছে।
সংশোধিত নকশা অনুযায়ী প্রকল্পের জন্য ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি লাগবে ২৬.০১৯৪ একর। প্রথম নকশায় কাজ করলে জমি লাগত ৪৩৬ একর। সংশোধিত নকশায় ওঠা-নামার র্যাম্পের অবস্থানের পরিবর্তন হয়েছে।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের রুট হবে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-কুড়িল-বনানী- মহাখালী-তেঁজগাও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী-ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক (কুতুবখালী)। বিমানবন্দর থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত এর মূল সেতু হবে ১৯.৭৩ কিলোমিটার। ওঠা-নামার র্যাম্প হবে ৩১টি। এ সব র্যাম্পের দৈর্ঘ্য হবে ২৭ কিলোমিটার।
বিমানবন্দর মোড় থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত সব গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ওঠা-নামা করা যাবে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি বিমানবন্দর থেকে সায়েদাবাদ এসে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারের সঙ্গে যুক্ত হবে। এরপর ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে যাত্রাবাড়ী হয়ে কুতুবখালী যাবে।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালের এপ্রিলে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। নির্মাণকারী প্রসিষ্ঠান কাজ না করায় দীর্ঘ দিন বিষয়টা চাপা পড়ে থাকে।
এসএ/এসকেডি/এমএস