গ্রেনেড হামলার রায়ে শেখ হাসিনার শুকরিয়া আদায়
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচার হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেছেন। তিনি বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচার হয়েছে। খুনিরা সাজা পেয়েছে। এজন্য আমরা মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেছি, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি। গ্রেনেড হামলারও বিচার হয়েছে। ২১ আগস্ট সেই রোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের আসামি তারা। একাত্তরে জামায়াত যেমন গণহত্যা চালিয়েছে তারই ধারাবাহিকতায় বিএনপিও গণহত্যা চালিয়েছে। এরা সুযোগ পেলেই মানুষ খুন করে।
রোববার শরীয়তপুরের শিবচরে আয়োজিত জনসভায় তিনি এ কথা বলেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মো. শামসুদ্দিন খানের সভাপতিত্বে জনসভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, নূরে আলম চৌধুরী লিটন প্রমুখ।
শেখ হাসিনা বলেন, এরা শুধু মানুষ হত্যা নয়, দুর্নীতিতেও চ্যাম্পিয়ন। বিএনপি আমলে বাংলাদেশ পাঁচ-পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এছাড়া লুটপাট, মানি লন্ডারিংয়েও সেরা। বাংলাদেশের টাকা মানি লন্ডারিং করতে গিয়ে কোকো, তারেক ধরা পড়েছে আমেরিকায়। ধরা পড়েছে সিঙ্গাপুরে। আমরা কিছুটা উদ্ধার করেছি।
তিনি বলেন, বিডিআরের যে হত্যাকাণ্ড হলো। ঐদিন সকাল সাড়ে ৭টায় তারেক রহমান খালেদা জিয়াকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বলে। খালেদা জিয়া ১২টার আগে ঘুম থেকে উঠে না। ঐদিন সকাল ৭টার মধ্যে ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে সে পালিয়ে যায়, আন্ডারগ্রাউন্ডে যায়, কোথায় গিয়েছিল তা জানা যায়নি। এর পরপরই বিডিআর হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে ঐ বিএনপি-জামায়াতেরও হাত ছিল। ৫৭ জন অফিসার মারা গেছেন। এর মধ্যে ডিজিসহ ৩৬ জন অফিসার আওয়ামী পরিবারের। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যে তারা জড়িত তাতে কোনো সন্দেহ নেই। নইলে ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে আন্ডারগ্রাউন্ডে পালিয়ে গেলো এক মাস ঐ বাসায় ফেরেনি। এর দায়ও তাকে নিতে হবে।
এফএইচএস/এসএইচএস/জেআইএম