মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের আলোর মিছিল
জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মোঃ ফজলে রাব্বী মিয়া বলেছেন, খুনি রাজাকার আলবদরদের প্রতিহত করার মধ্য দিয়ে অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা দেশকে আলোকিত করবে, তারাই গড়বে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ।
শুক্রবার রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে টিএন্ডটি মাঠের সামনে আমরা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান আয়োজিত আলোর মিছিল উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, ‘আমরা মনে করেছিলাম আমরা মুক্তিযোদ্ধারা মারা গেলে মুক্তিযুদ্ধের এ চেতনাকে ধারণ করার ভার কাদের কাছে দিয়ে যাব, কিন্তু আজ নিশ্চিন্ত হলাম আমাদের সন্তানরা যুগ থেকে যুগান্তর পর্যন্ত এ চেতনাকে বহন করে নিয়ে যাবে। খুনি রাজাকার আলবদরদের প্রতিহত করার মধ্য দিয়ে সকল ষড়যন্ত্রকে পেছনে ফেলে তারাই একদিন উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অগ্র সৈনিক হয়ে কাজ করবে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাহাঙ্গীর গেইট দিয়ে মানিক মিঞা অ্যাভিনিউ হয়ে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে গিয়ে ঘাতকের ট্যাংক জাতির পিতাকে হত্যা করে বাঙালি জাতিকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করে। যে পথে ঘাতকের ট্যাংক গিয়ে জাতির পিতাকে হত্যা করেছে সে পথে শুক্রবার রাতে ৪০টি মশাল নিয়ে আলোর মিছিল করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা।
মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের প্রতিনিধিত্বকারী একমাত্র সংগঠন ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ এর নেতৃত্বে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের টিএন্ডটি মাঠের সামনে থেকে জাতির জনকের বাসভবন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির সামনে মোমবাতি প্রজ্জলন এবং শপথবাক্য পাঠ করার মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শেষ হয়।
জাতির পিতার প্রতিকৃতির সামনে শপথবাক্য পাঠ করান সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. সাজ্জাদ হোসেন। আলোর মিছিলের পূর্বে কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও রাশেদুজ্জামান শাহিনের সঞ্চালনায় এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ইসমত কাদির গামা, বিএমএ’র সাধারণ সম্পাদক সংগঠনের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য শহীদ সংসদ সদস্য নুরুল হক হাওলাদারের কন্যা জোবায়দা হক অজন্তাসহ আরও অনেকে।
বক্তারা বলেন, ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনাকারীরা এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরেই রয়ে গেছে। ফলে তারা রাজনৈতিক স্রোতের সাথে মিশে গিয়ে রাজনীতিকে কলুষিত করছে। এরাই পরবর্তীতে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মতো নেক্কারজনক ঘটনা এবং আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে হত্যার মতো ঘটনা ঘটিয়েছে। অতএব এই ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করতে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ জরুরি।
মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৫ আগস্ট সংগঠনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হবে।
এআরএস