সতর্ক সংকেত কমল, লঞ্চ চলাচল শুরু
ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’র কারণে গতকাল বুধবার বিকেল থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে বন্ধ থাকা লঞ্চ বা যাত্রীবাহী নৌযান চালু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা থেকে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়।
অপরদিকে ঘূর্ণিঝড় তিতলি ভারতের স্থলভাগে উঠে দুর্বল হয়ে যাওয়ায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে এর পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
ঢাকা নদীবন্দরের (সদরঘাট) যুগ্ম-পরিচালক (নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা) আলমগীর কবির জাগো নিউজকে বলেন, ‘দুপুর থেকে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। চাঁদপুরসহ বিভিন্ন গন্তব্যে কয়েকটি লঞ্চ ছেড়েও গেছে। তবে উপকূলবর্তী এলাকা হাতিয়া, বেতুয়া ও রাঙ্গাবালীতে লঞ্চ যাবে না। ওই তিনটি স্টেশনের আগে হয়তো কোথাও লঞ্চগুলো গিয়ে থামবে। পরিস্থিতি আরও উন্নতি হলে তখন হয়তো যাবে।’
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় তিতলি ভারতের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসতে থাকলে বাংলাদেশও বৈরি আবহাওয়ার মধ্যে পড়ে। এ প্রেক্ষাপটে বুধবার অভ্যন্তরীণ সব রুটে নৌযান চালাচল বন্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
হ্যারিকেনের শক্তি নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে ভারতের গোপালপুরের ওড়িষ্যা-অন্ধ্র প্রদেশের উপকূল অতিক্রম করেছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় তিতলি।
লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় অনেকেই সদরঘাটে গিয়ে বিপদে পড়েন। অনেকে যাত্রীই সদরঘাট টার্মিনালে রাত কাটান।
যুগ্ম-পরিচালক আলমগীর কবির বলেন, ‘অনেক যাত্রী লঞ্চ বন্ধ হওয়ার খবর পাননি। তারা বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে চলে এসেছেন, সদরঘাটে রাত কাটিয়েছেন। কিছু যাত্রীর খাবারের ব্যবস্থাও আমরা করেছি।’
আবহাওয়া অধিদফতর সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (১৫ নম্বর) জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’ওড়িষ্যা থেকে আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমশ দুর্বল হতে পারে।
এতে আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশে উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার সৃষ্টি হচ্ছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
আরএমএম/আরএস/এনডিএস/আরআইপি/জেআইএম