সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য লালমাটিয়ায় ৮৮টি ফ্ল্যাট
সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ লালমাটিয়ায় ৮৮টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করছে। এর মধ্যে ৪১টি ফ্ল্যাট জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা এবং ৪৭টি ফ্ল্যাট অন্যান্য কর্মকর্তাদের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ফ্ল্যাটের প্রতি বর্গফুটের মূল্য ধরা হয়েছে পাঁচ হাজার ৭০০ টাকা। ৩৬টি ফ্ল্যাটের আয়তন ১৮৫৪ বর্গফুট এবং মূল্য এক কোটি পাঁচ লাখ ৬৭ হাজার ৮০০ টাকা। অপর ৫২টির আয়তন ১৬৮৫ বর্গফুট এবং মূল্য ধরা হয়েছে ৯৬ লাখ চার হাজার ৫০০ টাকা।
বুধবার (১০ অক্টোবার) এসব ফ্ল্যাটের নির্মাণ কাজের ভিত্তিফলক উন্মোচন করা হয়। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে এ ভিত্তিফলক উন্মোচন করেন।
এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে সরকার আবাসন নির্মাণের ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এসব সংস্থা সাধারণ জনগণের জন্যও ফ্ল্যাট নির্মাণ করছে। এছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের বসবাসের জন্য কোয়ার্টার্সও নির্মাণ করা হচ্ছে। সবার জন্য আবাসন সংক্রান্ত প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার অংশ হিসেবেই এসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ মিরপুরের সাধারণ নাগরিকদের জন্য দুই হাজার ছয়শ’ ফ্ল্যাট নির্মাণ করছে। দেশের ৩৭টি উপজেলায় পরিকল্পিত আবাসিক এলাকা গড়ে তুলে সাধারণ মানুষের কাছে প্লট বিক্রি করা হয়েছে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রায় পাঁচ হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণ করে সাধারণ জনগণের মধ্যে বিক্রি করা হয়েছে। উত্তরা ১৮ নম্বরে রাজউক ছয় হাজার ৬৩৬টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করেছে। এ মাসের শেষে এসব ফ্ল্যাটের উদ্বোধন করা হবে। এটি হবে দেশের প্রথম পরিকল্পিত আবাসিক এলাকা। এখানে আরো আট হাজার ৪০০ ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। এছাড়া ঝিলমিল আবাসিক এলাকায় রাজউকের তত্ত্বাবধানে ১৪ হাজার ৪০০টি ফ্ল্যাট নির্মাণের কাজ চলছে। পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে আরো প্রায় ৭০ হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। এসব ফ্ল্যাট নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের মধ্যে বিক্রি করা হবে। কম জমিতে অধিক লোকের বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে সরকার ফ্ল্যাট নির্মাণের প্রতি গুরুত্ব প্রদান করছে।
জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. রশিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রকৌশলী) ফজলুল কবীর ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান।
এমইউএইচ/এসএইচএস/এমএস