সরিয়ে দেয়া হলো শাহবাগ চত্বরের ব্যারিকেড
চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহালের দাবিতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের দেয়া ব্যারিকেড সরিয়ে দিয়ে শাহবাগের সড়ক মুক্ত করেছে কিছু ব্যক্তি। রোববার সকাল ৯টার দিকে শাহবাগের সড়ক ব্যারিকেড দিয়ে অবরুদ্ধ করে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছিলেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা। এতে শাহবাগের চারদিকের সড়কে তীব্র যানজট দেখা যায়।
পরে কয়েকজন শিক্ষার্থী ও কয়েকটি প্রাইভেটকারের চালক সড়ক থেকে নেমে ব্যারিকেড সরিয়ে যানচলাচল স্বাভাবিক করে দেন।
শাহবাগ পুলিশ বক্সের জহিরুল নামের এক কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, ‘সকল নয়টার পর বক্সে এসে শাহবাগ চত্বর খালি দেখতে পাই। তারা সরে গেছে নাকি কেউ তাদের সরিয়ে দিয়েছে, সে বিষয়ে আমরা নিশ্চিত নই।’
শাহবাগ জাদুঘরের সামনে চায়ের দোকানদার সাইফুল ইসলাম ভূইয়া। তিনি বলেন, ‘সকালে ৮-১০ জন স্লোগান দিচ্ছিল। এ সময় কয়েকজন ব্যক্তি এসে ব্যারিকেড সরিয়ে দেয়। পরে তারা নিজে নিজেই চলে যায়।’
লাগাতার কর্মসূচি ডেকে মাঠে না থাকার বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শাইখ আতিকুর বাবুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোটা বহালের দাবিতে লাগাতার কর্মসূচি চলবে। সকালে বারডেম হাসপাতালের কয়েকজন আমাদের অনুরোধ করলে আমরা সড়ক থেকে সরে যাই। আজ বিকেল তিনটায় আবার শাহবাগ অবরোধ করা হবে বলে তিনি জানান।
এর আগে মন্ত্রিপরিষদের কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখার দাবিতে বুধবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডসহ কয়েকটি সংগঠনের সদস্যরা।
কোটা বহাল রাখা ছাড়াও তাদের অন্য দাবিগুলো হলো মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য সুরক্ষা আইন, রাজাকারের সন্তানদের সরকারি চাকরিতে নিয়োগ না দেয়া ও তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা।
বুধবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। এ-সংক্রান্ত গঠিত কমিটি প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের যে সুপারিশ করেছিল, তাতে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এরপর থেকেই আন্দোলনে নামেন তারা।
এআর/এসআর/পিআর