ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে স্বাক্ষর না করতে রাষ্ট্রপতির প্রতি আহ্বান
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি নাগরিকদের বাকস্বাধীনতা ও সংবাদপত্রসহ গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পরিপন্থী বলে অভিহিত করে এতে স্বাক্ষর না করতে রাষ্ট্রপতির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতৃবৃন্দ।
বুধবার জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম, বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, বাসদের (মার্কসবাদী) সাধারণ সম্পাদক মুবিনুল হায়দার চৌধুরী, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু ও সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক যুক্ত বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে তারা বলেন, কথিত এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দেশের নাগরিকদের কেবল কণ্ঠরোধ করবে না, এই আইনের মাধ্যমে ক্ষমতাসীনদের স্বার্থে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জবাবদিহিতাহীন কর্তৃত্ব ও স্বেচ্ছাচারীতা চালাবার সুযোগ করে দিয়েছে।
নেতৃবৃন্দ রাষ্ট্রপতিকে এই আইনে স্বাক্ষর না করার জন্য আহ্বান জানানোর পাশাপাশি তার গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পরিপন্থী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ধারাসমূহ বাতিল করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ ক্ষোভের সঙ্গে আরও বলেন, দেশের সচেতন নাগরিক, রাজনৈতিক দল ও সাংবাদিকসহ সম্পাদক পরিষদের পক্ষ থেকে যুক্তিসহকারে যেসব সমালোচনা ও সংশোধনী প্রস্তাব করা হয়েছে, তার কিছুই সরকার আমলে নেয়নি। সরকারের রাজনৈতিক ইচ্ছা অনুযায়ী এই আইনের বিভিন্ন ধারায় অসাংবিধানিক ও মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষাবিরোধী ধারা যুক্ত করা হয়েছে। এটা স্পষ্ট যে সরকারের জবাবদিহিতাহীন স্বেচ্ছাচারী ক্ষমতাকে আরও নিরঙ্কুশ করতে এবং বিরোধী মত ও পথকে দমন করতেই এই আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। সম্পাদক পরিষদের সঙ্গে তিন মন্ত্রীর বৈঠকের পর আইনের নিবর্তনমূলক ধারাসমূহ সংশোধনের যে আশ্বাস দেয়া হয়েছিল, তার কিছুই করা হয়নি। আইনটি এখন অধিকন্তু চ‚ড়ান্ত করার পথেই সরকার নিয়েছে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, দেশের মানুষ নিবর্তনমূলক এই আইন কোনোভাবেই গ্রহণ করবে না। একইসঙ্গে নেতৃবৃন্দ অগণতান্ত্রিক ও নিবর্তনমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
এফএইচএস/বিএ