এক মাস পর সিইসির কক্ষে চার নির্বাচন কমিশনার
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও চার নির্বাচন কমিশনের মধ্যে দূরত্ব কমে এসেছে। দীর্ঘ এক মাস পর একসঙ্গে বৈঠক করেছেন তারা। মিলিত হয়েছেন সিইসির রুমে। এর মধ্যদিয়ে সিইসির সঙ্গে অন্য চার কমিশনারের দূরত্ব কিছুটা হলেও কমেছে বলে জানিয়েছেন ইসির কর্মকর্তারা।
ইভিএম নিয়ে আরপিও সংস্কার সংক্রান্ত ৩০ আগস্টের কমিশন বৈঠকের পর পাঁচ সদস্যের ইসিতে সিইসির কক্ষে ঘরোয়া কোনো বৈঠক হয়নি। আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কক্ষে গিয়ে আলাপ-আলোচনা করলেও মাঝখানে কিছু মতবিরোধ দেখা দেয়ায় আর বসতেন না তারা।
এর আগে অভিযোগ উঠেছিল, ইসির গুরুত্বপূর্ণ কাজের বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব ছাড়া অন্য নির্বাচন কমিশনারকে জানানো হয় না। এ জন্য কিছু কিছু কার্যক্রমে ‘বিধি-বিধানের ব্যত্যয় ঘটেছে’ উল্লেখ করে চার নির্বাচন কমিশনারের আন-অফিসিয়াল (ইউও) নোট দিয়েছিলেন।
ওই নোটে বলা হয়, যে পদ্ধতিতেই নিষ্পত্তি করা হোক না কেন বিধির ৪(৪) উপবিধি মতে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে বিষয়াদি নিষ্পত্তি করার বিধান থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে লঙ্ঘিত হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়।
তবে সব কাজ আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী করার নির্দেশ দিয়ে মঙ্গলবার একটি অফিস আদেশ জারি করেছে ইসি সচিবালয়। এর মধ্যদিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পাশাপাশি অন্য নির্বাচন কমিশনারদের কাছেও গুরুত্বপূর্ণ সব বিষয়ে নথি উপস্থাপন করতে হবে ইসি সচিবালয়কে।
ইসির সিনিয়র সহকারী সচিব মো. শাহ আলম স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়- কিছু কিছু কাজে আইনের ব্যত্যয় ঘটেছে যা চার নির্বাচন কমিশনারের নজরে এসেছে। এখন থেকে সব কাজ বিধি ও আইন অনুযায়ী করতে হবে।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, এটা ছিল পিউরলি ঘরোয়া আলোচনা। আমরা অনেক ইস্যু নিয়ে নিজেরা আলোচনা করেছি। আপনারাই আমাদের বিষয়টি (ইউও নোট) নিয়ে অস্বস্তি দেখছেন। আসলে আমরা তো অস্বস্তিতে নেই। আগেও অনানুষ্ঠানিক এভাবে আমরা বসতাম; আজও বসেছি।
এইচএস/বিএ