‘পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি যথাযথ হয়নি’
বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে তৈরি পোশাক শিল্প শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি যথাযথ হয়নি বলে মত দিয়েছেন আলোচকরা।
মঙ্গলবার (২ অক্টোবর) রাজধানীর ডেইলি স্টার ভবনের আজিমুর রহমান কনফারেন্স হলে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিল্স) উদ্যোগে এবং মনডিয়াল এফএনভির সহযোগিতায় ‘তৈরি পোশাক শিল্পে মজুরি পর্যালোচনা : বাস্তবতা ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এ মত দেন।
পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ঘোষণার বাস্তবতা বিশ্লেষণ ও করণীয় নির্ধারণই ছিল এ বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য।
বৈঠকে বক্তারা বলেন, ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে মূল মজুরির ২০০৬ সালের ৬৭.৬৯ থেকে কমিয়ে বর্তমানে ৫১.২৫ শতাংশ করা হয়েছে। এতে শ্রমিকরা সর্বক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যা কোনো ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করলেও এ মজুরি কম বলে তারা অভিমত ব্যক্ত করেন।
বক্তারা বলেন, জাহাজভাঙা ও ট্যানারি শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে পোশাক শিল্প শ্রমিকদের মজুরি সেভাবে বৃদ্ধি পায়নি।
তারা বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা, ভিশন-২০২১, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং সর্বপরি বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করতে হলে পোশাক শিল্প শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরিকে মানসম্মত পর্যায়ে নেয়ার প্রয়োজন রয়েছে। মজুরি নির্ধারণের বিষয়টি চূড়ান্তভাবে ঘোষিত হওয়ার আগে বিষয়টি নিয়ে শ্রমিক পক্ষের অবস্থান সরকারের কাছে জোরালভাবে তুলে ধরা প্রয়োজন বলেও বক্তারা অভিমত ব্যক্ত করেন।
মূল মজুরির ওপর যেহেতু অন্যান্য সুবিধা বৃদ্ধি নির্ভর করে সেহেতু এটি গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে নেয়া প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে মূল মজুরি ৭০ শতাংশ বৃদ্ধির প্রয়োজন রয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন বক্তারা।
তারা বলেন, সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের মধ্যে যে মজুরি বৈষম্য রয়েছে তা দূর করতে হবে।
বিল্স ভাইস চেয়ারম্যান মো. মজিবুর রহমান ভূঞার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিল্সের যুগ্ম মহাসচিব ও নির্বাহী পরিচালক মো. জাফরুল হাসান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মোস্তাফিজ আহমেদ।
বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন সভাপতি কামরুল আহসান, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, জাতীয় গার্মেন্ট শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হক আমিন প্রমুখ।
এএস/এএইচ/এমএস