ফখরুল-মওদুদ-গয়েশ্বরের বিরুদ্ধে নাশকতায় উসকানির মামলা
পুলিশের রাষ্ট্রীয় কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও নজরুল ইসলাম খানসহ বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। রোববার দিবাগত রাতে হাতিরঝিল থানায় মামলাটি করা হয়। মামলার বাদী হাতিরঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শরীফুল ইসলাম।
মামলার এজাহারে বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিবুন নবী খান সোহেল, যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাসহ অর্ধশত নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে রোববার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে যাওয়ার সময় মগবাজার রেলগেট এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি ও সোহরাওয়ার্দীর সমাবেশ থেকে নাশকতায় উসকানি দেয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।
হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল করিম জাগো নিউজকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রোববার বিএনপির সমাবেশে যাওয়ার পথে মগবাজার রেলগেট এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। এছাড়া সমাবেশ থেকে নাশকতার উসকানিও ছড়ানো হয়। এ কারণেই মামলাটি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বিএনপির এসব নেতাদের সরকারবিরোধী উস্কানিমূলক বক্তব্যের পর গতকাল রাত ৮টার দিকে হাতিরঝিল থানার মগবাজার রেলগেট এলাকায় বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠন ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং ছাত্রশিবিরের ৭০ থেকে ৮০ জন নেতাকর্মী জড়ো হন। তারা রাস্তায় যান চলাচলে বাধা দেন। পুলিশ জড়ো হওয়া নেতাকর্মীদের সড়ক অবরোধ না করতে অনুরোধ করে। কিন্তু পুলিশের অনুরোধ উপেক্ষা করে তারা পুলিশকেই হত্যার উদ্দেশ্যে ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করেন। সেখানে দুটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা এবং একটি বাস ভাঙচুর করেন। ভাঙচুর করা গাড়িগুলো আত্মরক্ষার্থে দ্রুত চলে যাওয়ায় গাড়ির নম্বর সংগ্রহ করতে পারেনি পুলিশ। প্রতিরোধের চেষ্টা করলে তারা লাঠি দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মারধর শুরু করেন, ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান।
মামলার এজাহারে উদ্ধারকৃত আলামতের ঘরে ৫টি বাঁশের লাঠি, দেড় লিটার পেট্রল, বিস্ফোরিত ককটেলের বোমার অংশবিশেষ ও ভাঙা কাচের টুকরা জব্দ করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির ৭ নেতাকে গ্রেফতার করার কথা জানিয়েছে পুলিশ। তাদের আদালতে পাঠিয়ে একদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন, কুমিল্লা জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া (৪৮), বাড্ডা যুবদলের ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন (৪০), গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার শফিউদ্দিন (৪৩), গুলশান ১৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রাশেদ বিন সোলায়মান (৪৪), ভালুকা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন (৫৩), বাড্ডার ৪১ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি সামছুল হক (৪০), লাঙ্গলকোট থানা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শিহাব খন্দকার (৩৫)।
এআর/এসএইচএস/বিএ/আরআইপি