ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

‘পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ এলেই ব্যবস্থা’

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০১:২৩ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮

পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির কোনো অভিযোগ এলেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার সিগনালে রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) ‘মাসব্যপী ট্রাফিক সচেতনতামূলক কার্যক্রম' পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

পুলিশ সদস্যদের চাঁদা আদায়ের অভিযোগ প্রসঙ্গে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ব্যক্তিগতভাবে যদি কোনো ব্যক্তি (পুলিশ সদস্য) অনিয়ম করে, তাহলে সেই দায় একান্তই তার। কোনো ব্যক্তির দায় প্রতিষ্ঠান নেবে না। যদি কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে ঢাকার পুলিশ প্রধান বলেন, ‘দুই মাসব্যাপী ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপে আমরা কাঙিক্ষত পর্যায়ে যেতে পারিনি। তবে ধারাবাহিক এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। সবারই আইন মানতে হবে, আইন না মানলে তাদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘শত বছরের অভ্যাস দুই-এক মাসেই পরিবর্তন হয়ে যাবে-আমরা সেটা প্রত্যাশাও করি না। তবে সব প্রক্রিয়ায় ২০১৮ সালের মধ্যেই ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় দৃশ্যমান পরিবর্তন আসবে।’

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের একপর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ট্রাফিক ব্যবস্থায় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ঈদের আগে ১০ দিনব্যাপী ট্রাফিক সপ্তাহ এবং ঈদের পর সেপ্টেম্বর মাসজুড়ে ট্রাফিক সচেতনতামূলক কার্যক্রম চলছে। পুলিশের এ কার্যক্রমে স্কাউট, গার্লসগাইড, বিএনসিসি, রেড ক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সহায়তা করছে। এ ছাড়া বিআরটিএ, সিটি কর্পোরেশন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করছি।’

গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপে কতটা অগ্রগতি হয়েছে সেটা নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে, কিন্তু আমাদের আন্তরিকতা বা প্রচেষ্টার ঘাটতি ছিল না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ডিএমপি কমিশনার আরো বলেন, ‘নির্ধারিত বাস স্টপেজে আমরা শুরু থেকে শেষ সাইবোর্ড লাগিয়েছি। মোটরসাইকেলে দুই আরোহীর হেলমেট নিশ্চিত করা কিংবা দুইজনের অধিক আরোহী বহন না করার বিষয়ে আমরা অনেকটাই সফল। পথচারীদের ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারেও সফলতা এসেছে কিন্তু কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় আসেনি।’

দুই মাসব্যাপী অভিযানে ডিএমপি প্রায় ৭ কোটি টাকা জরিমানা আদায় করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ সময়ে পর্যাপ্ত গাড়ি ডাম্পিং ও রেকারিং করা হয়েছে।’

আমাদের মধ্যে আইন না মানার প্রবণতাই সবচেয়ে বড় সমস্যা উল্লেখ করে ডিএমপি প্রধান বলেন, ‘পথচারীদের জোর করে ফুটওভার ব্রিজে উঠাতে হয়। ইতোমধ্যে আমরা চালকদের সঙ্গেও বহু মিটিং করেছি। এ ক্ষেত্রে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও ব্যাপক নয়। আমরা প্রত্যাশা করব, সমাজের সব দায়িত্বশীলরা আইন মানবেন। সবাই আইন মানার সংস্কৃতি চালু করুন, নিজে আইন মানুন ও অন্যকে আইন মানতে উদ্বুদ্ধ করুন।’

আমরা বিদেশে গেলে কিংবা ঢাকার বিশেষ কোনো এলাকায় গেলে আইন মানি কিন্তু সব স্থানে কেন আইন মানি না কেন- এমন প্রশ্ন রেখে কমিশনার বলেন, শুধু পুলিশ নয়, সরকারের কোনো বাহিনী দিয়ে এককভাবে শৃঙ্খলা ফেরানো সম্ভব নয়, যতক্ষণ না আমাদের মধ্যে আইন মানার প্রবণতা তৈরি হবে।’

‘জাহাঙ্গীর গেট থেকে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত আমরা স্বয়ংক্রিয় বাতির আওতায় আনতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বাতিগুলো চালু করা সম্ভব হয়নি। কারণ বাতিগুলো সরকারের অন্য সংস্থা নিয়ন্ত্রণ করে। তবে আমরা সব সংস্থার সঙ্গেই সমন্বয় করছি’ যোগ করেন আছাদুজ্জামান মিয়া।

তিনি বলেন, ফুটপাত দখলমুক্ত করতে তাদের কর্মসংস্থানের বিষয় রয়েছে, লেগুনা কোন পথে চলবে বা কোন পথে চলবে না আমরা সেসব ভাবছি। সাফল্যের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি, কিন্তু আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সুশৃঙ্খল নগরী গড়ে তোলার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন ডিএমপি কমিশনার।

এআর/এসআই/এনডিএস/পিআর

আরও পড়ুন