শাহ আমানত বিমানবন্দরে যাত্রীদের বিক্ষোভ
চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সিডিউল বিপর্যয়ে বিক্ষোভ করেছেন যাত্রীরা। বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ বিমানের মাসকটগামী একটি ফ্লাইটের যাত্রীরা এ বিক্ষোভ করেন।
জানা গেছে, বাংলাদেশ বিমানের মাসকটগামী এ ফ্লাইটটি গতকাল (বুধবার) দিনগত রাত ৮টায় শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যাওয়া কথা ছিল। কিন্তু ইউএস-বাংলার একটি উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা কবলিত হয়ে জরুরি অবতরণ করার পর শাহ আমানতে বিমান ওঠা-নামা বন্ধ রাখা হয়। সিডিউল বিপর্যয়ে পড়ে শাহ আমানত বিমানবন্দর।
মাসকটগামী এ ফ্লাইটটি রাত ৮টার পরিবর্তে আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল চট্টগ্রাম ছাড়ার কথা ছিল। তবে সকালে বিমান কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়, ফ্লাইটটি আজ বিকেলে ৩টায় চট্টগ্রাম ছেড়ে যাবে। এমন সংবাদে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অপেক্ষারত মাসকটগামী যাত্রীরা বিক্ষোভ করেন।
চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের উপ-সহকারী ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার সরোয়ার ই জাহান জাগো নিউজকে বিক্ষোভের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মূলত কালকের ঘটনায় (ইউএস-বাংলা উড়োজাহাজের জরুরি অবতরণ) চট্টগ্রামে সিডিউল বিপর্যয় দেখা দেয়। আর এ কারণেই বিমান ফ্লাইট বিলম্ব হয়েছে।
চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, শুধু মাসকটগামী বাংলাদেশ বিমানের এই ফ্লাইটই নয়, ইউএস-বাংলা উড়োজাহাজের জরুরি অবতরণের ঘটনায় বেশ কয়েকটি ফ্লাইটের সিডিউল বিপর্যয় হয়েছে।
বুধবার শাহ্ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে ইউএস-বাংলা উড়োজাহাজটি
বুধবার দুপুরে কক্সবাজারে অবতরণ করতে না পেরে চট্টগ্রামের শাহ্ আমানত বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে ইউএস-বাংলা উড়োজাহাজের একটি ফ্লাইট। ফ্লাইটটিতে ১১ শিশুসহ (ইনফ্যান্ট) ১৬৪ যাত্রী ও সাত ক্রু ছিলেন। অবতরণের পর সবাইকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়। ইউএস-বাংলার জরুরি অবতরণের পর চট্টগ্রামের শাহ্ আমানত বিমানবন্দরে ফ্লাইট উঠানামা বন্ধ রাখা হয়।
আরএস/আরআইপি