প্রতি ফ্লাইটে আসছে ১০ হাজির ‘স্মৃতির লাগেজ’
চলতি বছর সৌদি আরবে পবিত্র হজ পালন করতে গিয়ে মারা যাওয়া হাজিদের লাগেজ ফেরত আসছে। গতকাল (শুক্রবার) বাংলাদেশ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে ১০টি করে লাগেজ এসেছে। ইতোমধ্যে মোট ৪১ জন হাজির লাগেজের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। আগামী ২৭ সেপেম্বর হজ ফ্লাইট শেষ হচ্ছে।
জেদ্দায় মৌসুমী হজ অফিসার হিসেবে কর্মরত ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. শাখাওয়াত হোসেন এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, যেসব লাগেজ আসছে সেগুলোতে শুধু মৃত হাজিদের নয়, বিমানবন্দরে লাগেজ খোয়া গিয়েছিল এমন যাত্রিদেরও লাগেজ রয়েছে।
মৃত ও জীবিত যেসব হজযাত্রির লাগেজের তালিকা তৈরি হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন- এহসানুল করিম, মো. ফরহাদ, মো. আবদুল কাদের, মো. হারুনুর রশীদ, অজ্ঞাত, আবদুল জলিল, মর্জিনা খাতুন, নুরজাহান বেগম, মনির আহমেদ মজুমদার, হাসেন আলী, শিমুল বাবু, অজ্ঞাত, শাহানারা বেগম, মফিজুর রহমান, রহিমা বেগম, মো. অাবদুল মোতালেব, শামিমা নাসের, শাহানারা বেগম, মো. আমিনুল, মো. ইদ্রিস শেখ, মনোয়ারা, সাইফুল আলম হামিদি, মো. জামিল আলী আসাদ, মো. আমিনুল ইসলাম, মো. মিয়া, চান মোহাম্মদ, রাজিব উদ্দিন, আবদুর রহমান ভুইয়া, জয়নুল আবেদিন, ইলিয়াস মোস্তফা খান, মো. মোখলেসুর রহমান রাশেদ, এসকে ওসমান আলি, মো. আবদুল মোতালেব মন্ডল, মর্জিনা বেগম রিমা, মো. মতিউর রহমান, আবদুল জলিল ও মো. মিসির আলী প্রমুখ। এছাড়া অজ্ঞাত একজনের একটি লাগেজও রয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকাল (২১ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত সৌদি আরবে সর্বমোট ইন্তেকাল করেছেন ১৩৯ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী/হাজি। তাদের মধ্যে পুরুষ ১১৮ জন ও নারী ২১ জন। মোট মৃতদের মধ্যে মক্কায় ৮৪ জন, মদিনায় ২২ জন, জেদ্দায় ৫ জন, মিনায় ১৮ জন ও আরাফা ১০ জন মারা যান।
তাদের মধ্যে অনেকের লাগেজ স্বজনরা সঙ্গে করে নিয়ে এসেছেন আবার কারও লাগেজ আসেনি। যাদের লাগেজ আসেনি সেগুলোই এখন পাঠানো হচ্ছে। লাগেজগুলো বিমানবন্দরে জমা থাকবে। উপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে হাজিদের স্বজনরা সেগুলো নিয়ে যাবেন।
এমইউ/এমবিআর/এমএস