বন্যা কবলিত এলাকায় বিশেষ ব্যবস্থায় ক্লাস
উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বন্যাকবলিত পাঁচ জেলায় শিক্ষার্থীদের বিশেষ ব্যবস্থায় পাঠদান চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের উত্তারাঞ্চলসহ বন্যাকবলিত পাঁচ জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠাগুলোর দিকে ‘বিশেষ নজর’ দেয়া হয়েছে। যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়েছে বা তলিয়ে গেছে, সেগুলোর আশপাশের উঁচু স্থান অথবা কোনো বাড়িতে ক্লাস চালিয়ে নিয়ে যেতে প্রধান শিক্ষকদের বলা হয়েছে। এ জন্য স্থানীয় গ্রামবাসীর সঙ্গে পরামর্শ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেও বলা হয়েছে।’
সম্প্রতি রাজশাহী, বগুড়া, শেরপুর, জামালপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার নদী তীরবর্তী উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আংশিক বা পুরোপুরি তলিয়ে গেছে। এলাকার রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে গেছে। এ কারণে সেসব এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদানও বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক এলকায় শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে পারছে না।
দেশের ওই পাঁচ জেলার পদ্মা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্র্রবাহিত হচ্ছে। নদীগুলোতে প্রতিদিন বাড়ছে পানি প্রবাহ।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত ক্লাসরুমগুলোকে পাঠ উপযোগী করে তোলা হবে। যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হবে, পানি শুকিয়ে যাওয়ার পর সেগুলোকে দ্রুত মেরামত করতে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বন্যার কারণে আমরা উদ্বিগ্ন। কেবল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, শিক্ষার্থীদের নিজেদের বাড়ি-ঘরেও পানি ঢুকে পড়েছে। সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো অর্থনৈতিকভাবেও চ্যালেঞ্জর মুখে পড়েছে। শিক্ষার্থীদের সামনে স্কুল ফাইনাল পরীক্ষা। তারা পরীক্ষা নিয়ে চিন্তিত। অভিভাবকরাও উদ্বিগ্ন। এমতবাস্থায়, পানি শুকিয়ে গেলে অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে বন্যার সময়ে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
আগামী ১ নভেম্বর থেকে দেশজুড়ে অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া প্রায় ২০ লাখ শিক্ষার্থী জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নেবে। এছাড়া ১৮ নভেম্বর থেকে সারাদেশে শুরু হচ্ছে প্রাথমিক সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা।
এমএইচএম/এমএমজেড/জেআইএম