‘গ্রিন টি’র ঘোষণায় চট্টগ্রামে এলো নতুন মাদক ‘খাট’
বৈদেশিক ডাক বিভাগের মাধ্যমে চট্টগ্রাম ও ফেনির ঠিকানায় আসা দুইটি পার্সেল পরীক্ষা করে ২০৮ কেজি ভয়ানক মাদক ‘খাট’ উদ্ধার করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এসব মাদক ‘গ্রিন টি’ বা সবুজ চা হিসেবে ঘোষণা দিয়ে বাংলাদেশে আনা হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান কাস্টমস কমিশনার ড. এ কে এম নুরুজ্জামান ।
তিনি বলেন, ‘ইথিওপিয়া থেকে জিয়াদ মোহাম্মদ নামে এক ব্যক্তি চট্টগ্রামের হালিশহরের মো. ইফতেখার হোসেনের নামে এক ব্যক্তির ঠিকানায় একটি পার্সেলে মোট ১৩টি কার্টন পাঠান। আরেকটির প্রাপক হিসেবে নাম আছে ফেনির আরিফ এন্টারপ্রাইজের। এই ঠিকানায় তিনটি কার্টনে ৪৮ কেজি পণ্য আসার কথা ছিল। বৈদেশিক ডাক বিভাগের মাধ্যমে পাঠানো এসব পার্সেলের ‘তথ্য হিসেবে’ জানানো হয় গ্রিন টি বা সবুজ চা’র কথা। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি, ওইসব কার্টনে গ্রিন টি নয় বরং এসেছে নতুন ধরনের মাদক ‘খাট’।’
কাস্টমস কমিশনার আরও জানান, ঢাকা পোস্ট অফিস হয়ে গত ৩০ আগস্ট এই চালান দুটি চট্টগ্রামে পৌঁছায়। এসময় চট্টগ্রাম কাস্টমস খবর পায়, ডাক বিভাগের মাধ্যমে খাটের চালান এসেছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে গত ৬ সেপ্টেম্বর পার্সেল দুটি আটক করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। পরীক্ষা করে জানা যায়, এগুলো গ্রিন টি নয় বরং ভয়ানক মাদক ‘খাট’।
তিনি জানান, তদন্তে দেখা গেছে, যেসব ঠিকানা ব্যবহার করে এই কার্টনগুলো পাঠানো হয়েছে সেগুলো সঠিক নয়। ভুয়া নাম ও ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে।
কাস্টমস সূত্র জানায়, নতুন নেশাদ্রব্য ‘খাট’ বা ‘মিরা’ নামে এই উদ্ভিদটি নিউ সাইকোট্রফিক সাবস্টেন্সেস (এনপিএস) নামে পরিচিত। অনেকে একে ‘আরবের চা’ বলে থাকেন। ‘ইথিওপিয়ান গাঁজা’ নামেও পরিচিত এটি। আন্তর্জাতিকভাবে ‘সি’ ক্যাটাগরির মাদক হিসেবে এটিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ‘খাট’ মূলত পূর্ব আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে সোমালিয়া ও ইথিওপিয়াতে উৎপন্ন হয়। সেখান থেকে রফতানি হয় ইউরোপ, আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যসহ অস্ট্রেলিয়ায়। সম্প্রতি ঢাকায় এনপিএসের কয়েকটি চালান জব্দ করে শুল্ক বিভাগ।
এসআর/জেআইএম