ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

একই প্রতীকে একাধিক সিল পড়লেও ভোট বাতিল নয়

প্রকাশিত: ১১:০৫ এএম, ১১ আগস্ট ২০১৫

স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিধিমালা পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আর এটি বাস্তবায়িত হলে একই প্রতীকে একাধিক সিল পড়লেও ভোট বাতিল হবে না। এছাড়া পৌর নির্বাচনেও প্রতীক নির্ধারণ করা হবে।

বিধিমালায় সংশোধনীর বিষয়ে কমিশনের আইন শাখার যুগ্ম-সচিব ড. মো. শাহজাহান জাগো নিউজকে বলেন, কমিশনের নির্দেশে পৌরসভার প্রতীক নির্দিষ্ট করা হবে। এছাড়া নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক প্রার্থীদের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে ‘টিআইএন’ দেয়া বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। আর একই প্রতীকে একাধিক সিল পড়লে ভোট বাতিল হবে না।  

জানা যায়, পৌরসভা নির্বাচন বিধিমালার ৩৮(৩) এর উপবিধি (খ) এবং উপদফা `ঈ` এ পরিবর্তন আনছে কমিশন। এ ধারায় বলা হয়েছে- প্রার্থীদের প্রতীক সংবলিত ব্যালটে একই প্রার্থীর পক্ষে অর্থাৎ তার প্রতীকে একের অধিক ভোট বা সিল পড়লে ভোটটি বাতিল হবে। কমিশন নানা দিক পর্যালোচনার পর ওই বিধিতে পরিবর্তন আনছে। যদি কোনো প্রার্থীর প্রতীকে একাধিক সিল পড়ে তবে ভোট বাতিল হবে না। আর যদি একাধিক ব্যক্তির প্রতীকে সিল পড়ে তাহলে ভোট বাতিল হবে।

কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, সিল মারার ক্ষেত্রে যে সংশোধনী আনা হচ্ছে তা যুগোপযোগী। কারণ গ্রামের সাধারণ মানুষরা তাদের পছন্দের প্রার্থীর প্রতীকে অনেক সময় একাধিকবার সিল মারেন। এ কারণে অনেক প্রার্থীর ভোট বাতিল হয়।

এছাড়া বিগত নির্বাচনগুলোতে স্থানীয় সরকারের জন্য কোনো প্রতীক নির্দিষ্ট করা ছিল না। এবার প্রত্যেকটি নির্বাচনের জন্য আলাদা আলাদা প্রতীক নির্বাচন করেছে ইসি। পৌরসভার জন্য ৩৪টি প্রতীক নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এর মধ্যে মেয়র-১২টি, সংরক্ষিত কাউন্সিলর ১০টি ও সাধারণ কাউন্সিলর ১২টিসহ মোট ৩৪টি প্রতীক নির্দিষ্ট করা হয়েছে।

নির্বাচনে প্রার্থীদের অতীতে ট্যাক্স আইডেনটিফিকেশন নম্বর (টিআইএন) মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক ছিল না। ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন  নির্বাচনে এ বিধানটি কার্যকর করা হয়েছে। তাই সিটি নির্বাচনের মতো পৌরসভা আইন ও নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালাতে টিআইএন সংক্রান্ত ধারাটি সংযোজন হচ্ছে।

এইচএস/একে/আরআইপি