অামাদের ওপর দেশের মানুষের অাস্থা ও বিশ্বাস বৃদ্ধি পেয়েছে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অামরা ১০ বছর রাষ্ট্র পরিচালনা করেছি। দেশের জনগণ অামাদের প্রতি অাস্থা ও বিশ্বাস স্থাপন করেছে। দিনের পর দিন অাস্থা এবং বিশ্বাস বৃদ্ধি পাওয়া অামাদের জন্য বিশাল পাওয়া। এটা কম পাওয়া নয়।
তিনি বলেন, অান্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে দেশের উন্নয়নে কাজ করেছি। দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করেছি। দেশের মানুষ উন্নয়ন পেয়েছে, সুফল পেয়েছে বলে আমাদের ওপর তারা অাস্থা ও বিশ্বাস স্থাপন করেছে।
বুধবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে অাওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সভায় অাওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কমিটির অধিকাংশ নেতা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অামেরিকান রিপাবলিকান পার্টি (অাইঅারঅার) যে গবেষণা করেছে তাতেও বলা হয়েছে- যে শেখ হাসিনার প্রতি দেশের মানুষের অাস্থা ও বিশ্বাস বেড়েছে। মানুষের জন্য মানুষের কল্যাণ কাজ করেছি বলেই অাজ এ ধরনের একটি ফলাফল পেয়েছি।
তিনি বলেন, এর অাগে যখন ইমারজেন্সি ঘোষণা করা হলো, অামাকে এবং খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করা হলো। অামার বিরুদ্ধে তো খালোদা জিয়া প্রায় এক ডজন মামলা দিয়েছিল। অাজ যেসব জিনিস নিয়ে অামরা গর্ব করি সেই নভোথিয়েটার, সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর জন্য অাধুনিক যন্ত্রপাতি, মিগ, উড়োজাহাজসহ যা যা ক্রয় করেছি সব কারণে মামলা হয়েছে অামার ওপর।
শেখ হাসিনা বলেন, অাবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার যখন ক্ষমতায় এলো তখন অামার ওপর অারও পাঁচটি মামলা দিল। প্রতিটি মামলাই তারা ইনকুয়ারি করেছে। এমনকি পদ্মা সেতু নিয়ে অামাদের ওপর দোষ দিতে যেয়ে অামেরিকান গোয়েন্দা সংস্থাও তদন্ত করেছে। এছাড়া ওয়ার্ল্ড ব্যাংক তদন্ত করেছে। অামার পরিবার অামার বোন ও ছেলে-মেয়ে সবারই তদন্ত হয়েছে। অনেক খোঁচাখুঁচি হয়েছে। তবে এটা করতে গিয়ে প্রমাণ বের হয়ে এসেছে যে খালেদা জিয়া ও তার ছেলেরা যে বিভিন্ন কোম্পানির কাছ থেকে ঘুষ খেয়েছে। তারা যে বিদেশে টাকা পাঠিয়েছে সেগুলো ধরা পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, সেই সময় যে সরকার ক্ষমতায় ছিল তারা কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার প্রিয়ভাজন ছিল। তখন রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন ছিলেন খালেদা জিয়ার দলের লোক। তখনকার প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দিন সাহেবকে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক থেকে এনে তাকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর খালেদা জিয়াই করেছিল। তিনি তার খুবই অাস্থাভাজন ছিলেন। সেনাবাহিনী থেকে নয়জনকে ডিঙ্গিয়ে জেনারেল মঈনকে সেনাপ্রধান খালেদা জিয়াই করেছিল। এবং সেই অামলেই তার বিরুদ্ধে মামলা। ওই মামলাগুলো চলছিল প্রায় ১০ বছর। মামলা চলার পর তার মধ্যে রায় হয়েছে। একটা মামলায় সে সাজাপ্রাপ্ত হয়েছে, কোর্ট রায় দিয়েছে বলেই সে কিন্তু কারাগারে। অারেকটি মামলাও তার চলছে। তার মামলা করতে গিয়ে যে সমস্যা হচ্ছে যে কোর্টের একটা সময় বাঁধা থাকে। কিন্তু যেকোনো সুতোয় হোক খালেদা জিয়া কোর্টে যায় না। খালেদা জিয়াতো কোর্টে যায়ই না অাবার তার অাইনজীবীরাও সময় নেয়। এখানে অামার একটা প্রশ্ন যে তিনি যদি নির্দোষ হবেন তাহলে মামলা মোকাবেলা করতে ভয় কীসের? অার তাদের যারা অাইনজীবী তারা কেন কোর্টে যাবে না। ইতোমধ্যে বললো যে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তার অভাব, তার শারীরিক অসুস্থতা, উনি বেশি নড়তেচড়তে পারছেন না। তান এমন অবস্থার কথা চিন্তা করেই জেলগেটে কোর্ট বসানো হলো।
তিনি বলেন, বিডিঅারের বিচার কিন্তু কোর্ট বানিয়ে করা হয়েছে। যেখানে প্রজ্ঞাপন দিয়ে জায়গা ঠিক করে সেখানে কোর্ট বসতে পারে। এই যে বিচার কাজ এ পথ তো জিয়াউর রহমানই দেখিয়ে দিয়ে গেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ১০ বছর মামলা চলেছে। এ সময়ে খালেদা জিয়ার অাইনজীবীরা প্রমাণ করতে পারলো না যে খালেদা জিয়া নির্দোষ। সে দোষটাও কি অামাদের সরকারের?
এফএইচএস/বিএ