ভেজাল ওষুধ তৈরির দায়ে দুইজনকে দণ্ড
রাজধানীতে ভেজাল ওষুধ ও অননুমোদিত ভুয়া প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। পরে অনুমোদনহীন ওষুধ তৈরির দায়ে কারখানা সিলগালা এবং দুইজনকে জরিমানা করেছে র্যাব পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত যাত্রাবাড়ী থানাধীন কাজীরগাঁওস্থ পদ্মা হোমিও ল্যাবরেটরি ও ৩১৯/১ দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীস্থ হারবো ল্যাবরেটরিজে অভিযান চালায় র্যাব-১০। অভিযান শেষে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম। এসময় ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের ওষুধ তত্বাবধায়ক মাহমুদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম বলেন, বিভিন্ন এলাকায় অনুমোদনবিহীন নকল পণ্য ব্যবসায়ী ও ভুয়া সার্টিফিকেটধারী ডাক্তারদের আইনের আওতায় আনতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
এরই অংশ হিসেবে যাত্রাবাড়ী থানাধীন কাজীরগাঁওস্থ পদ্মা হোমিও ল্যাবরেটরি ও ৩১৯/১ দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীস্থ হারবো ল্যাবরেটরিজে অভিযান চালানো হয়েছে।
অভিযানে ১৯৪০ সালের ড্রাগ অ্যাক্ট লঙ্ঘনের দায়ে পদ্মা হোমিও ল্যাবরেটরির মালিক বুলবুল আহম্মেদকে (৪৬) দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকার জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো দুই মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। একই ঘটনায় হোমিওপ্যাথিক ওই ওষুধ কারখানাটি সিলগালা করা হয়।
অপরদিকে ৩১৯/১, দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীস্থ এ/পি ‘হারবো ল্যাবরেটারিজের ম্যানেজার নির্মল বর্মনকে (৬২) এক লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
পদ্মা হোমিও ল্যাবরেটরিতে অভিযানের সময় দেখা যায় জীবন্ত মৌমাছি গুঁড়া করে পেস্ট বানিয়ে হোমিওপ্যাথিক ওষুধ তৈরির উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
হোমিওপ্যাথিক ওষুধ তৈরিতে কোনো লাইসেন্স লাগে না তাই তারা হোমিওপ্যাথিক ওষুধ তৈরির আড়ালে মূলত বিভিন্ন ধরনের হারবাল এবং এলোপ্যাথিক ওষুধ তৈরি করে আসছিল।
কেমিস্ট বা ফার্মাসিষ্ট ছাড়াই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এসব মানহীন ওষুধ তৈরি করা হচ্ছিল। আলফালফা, রায়টক্স, আয়োডাম এবং জিনসেং (যৌন শক্তিবর্ধক) নামে এসব ওষুধ তৈরি হচ্ছিল। যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
জেইউ/বিএ