ভোটের সম্ভাব্য তারিখ ২৭ ডিসেম্বর : অর্থমন্ত্রী
‘নির্বাচন হতে পারে আগামী ২৭ ডিসেম্বর। সেই হিসাবে ২৫ সেপ্টেম্বরের আগে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা হতে পারে’ বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
বুধবার সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলররা সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসেন। এ সময় নির্বাচন সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে মুহিত এমন মন্তব্য করেন। এর আগে জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপচারিতায় আওয়ামী লীগের একাধিক সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ২৭ ডিসেম্বর নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ বলে জানান।
আজ অর্থমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে মনে হয়েছে আগামী ২৭ ডিসেম্বর তারা (নির্বাচন কমিশন) জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা ভাবছে। এজন্য সরকারও প্রস্তুতি নিচ্ছে। আগামী ২০ দিনের মধ্যে বর্তমান সরকারের কাঠামো ভেঙ্গে দিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা হবে। সরকারটি হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মডেল অনুযায়ী।’
‘প্রধানমন্ত্রীকে প্রধান করে স্বল্পসংখ্যক মন্ত্রী নিয়ে এ সরকার হবে। সংসদ থাকবে আগামী ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। নতুন সরকার না হওয়া পর্যন্ত সংসদ বহাল থাকবে’- বলেন অর্থমন্ত্রী।
ওই সরকারে বিএনপি বা সুশীল সমাজের প্রতিনিধি থাকবে কিনা- জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি বা সুশীল সমাজের প্রতিনিধি কারোরই নির্বাচনকালীন সরকারে থাকার সুযোগ নেই। সংবিধান অনুযায়ী ওই সরকারের প্রতিনিধি হবেন সংসদ সদস্যরা। ফলে যিনি সংসদ সদস্য নন তিনি সরকারে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন না।’
ইভিএম (ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিন) ব্যবহার প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ইভিএম ছাড়া নির্বাচন কখনোই পুরোপুরি সুষ্ঠু হবে না। নির্বাচন কমিশনে অনেক সংস্কার হয়েছে। এবার নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।’
নির্বাচনে বিএনপির অংশ নেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি আশা করি নির্বাচনে বিএনপি আসবে। না এলে তো তারা অদৃশ্য হয়ে যাবে।
সংবিধান অনুযায়ী, ৩০ অক্টোবর থেকে ২৮ জানুয়ারির মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ভোটের সম্ভাব্য সময় ধরে প্রস্তুতি নেয়ার কথা এর আগেও জানিয়েছেন ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
আসন্ন নির্বাচনের পরিবেশ সম্পর্কে অর্থমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য দেশে এখন ‘ভালো পরিবেশ’ বিরাজ করছে। ‘আমার নিজস্ব ধারণা, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে। নির্বাচনে চুরি-চামারি করা মুশকিল।’
এমএআর/জেআইএম