আজান পড়তেই মসজিদে ছুটলেন দোকানি
মঙ্গলবার, রাত সাড়ে ৭টা। মক্কা নগরীর পবিত্র হেরেম শরিফ প্রাঙ্গণে হযরত আবু বকরের (র.) বাড়ির চারতলায় শপিংমলের রিনাদ গোল্ড অ্যান্ড জুয়েলারি নামক একটি স্বর্ণের দোকানে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। আশপাশের ফাস্টফুড, কসমেটিকস ও টুপি তসবিহের দোকানেও ক্রেতা-বিক্রেতার কথোপকথনে জমজমাট কেনাবেচা চলছিল।
এ সময় কাবা শরিফ থেকে এশার নামাজের আজান ভেসে আসলো। মিনিট খানেক আগেও যে মার্কেটটি ক্রেতা-বিক্রেতার পদচারণায় মুখরিত ছিল, সেই মার্কেট তাৎক্ষণিক বিক্রেতাশূন্য হয়ে পড়লো। মার্কেটের সকল দোকানি মুহূর্তের মধ্যে দোকান খোলা রেখেই নামাজ আদায় করতে ছুটলেন। এমন দৃশ্যে শুধু হেরেম শরিফ প্রাঙ্গণের শপিংমলেই নয়, মক্কাসহ সৌদি আরবের ফুটপাতের দোকানসহ সর্বত্র।
স্থানীয়রা জানালেন, সৌদি আরবের বিভিন্ন ছোটবড় ব্যবসা প্রাতষ্ঠান দিনরাত ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকলেও শুধু পাঁচওয়াক্ত নামাজের আজান পড়লে যখন যিনি যেখানে আছেন সেভাবেই নামাজ পড়তে মসজিদে ছুটে যান। অধিকাংশ দোকানি দোকান বন্ধ না করেই নামাজ পড়তে চলে যান। এদেশে চুরি মারাত্মক শাস্তিযোগ্য অপরাধ হওয়ায় চুরি হয় না।
বাংলাদেশি একজন হাজি নাতনির জন্য একটি স্বর্ণের কানের দুল কিনছিলেন। হঠাৎ আজান শুরু হলে দোকান খোলা রেখেই চলে যান দোকানি। এ সময় ওই হাজি বলেন, আমাদের দেশে হলে কী যে হতো, হয়তো দোকানই গায়েব করে দিত।
এমইউ/জেডএ/আরআইপি