এক বছরেও দেখা পেলেন না অর্থমন্ত্রীর (পর্ব তৃতীয়)
গাড়ি নিয়ে বিশ্বভ্রমণে বের হয়ে নিজ দেশে ৫ বছর ৩ মাস ধরে হয়রানির শিকার হওয়া আব্দুস সাত্তারের সঙ্গে কথা বলতে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন খোদ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। গত বছরের সেপ্টেম্বরে তিনি এক নোটে এই আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও অর্থমন্ত্রীর কাছে যেতে পারেননি সাত্তার।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত চট্টগ্রাম শুল্ক বিভাগ, রাজস্ব বোর্ড ও পর্যটন ব্যুরোর চেয়ারম্যান বরাবর আব্দুস সাত্তারের সন্ধান চেয়ে নোট পাঠান। অর্থমন্ত্রী তার নোটে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্দেশ দেন, `এই ভদ্রলোককে খুঁজে বের করে আমার কাছে পাঠান`। তবে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো আব্দুস সাত্তারকে হাজির করেননি মুহিতের কাছে।
মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার জাগো নিউজকে বলেন, আমি নিজে বিষয়টি জানতে পেরে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে দেখা করতে বেশ কয়েকবার তার দফতরে গিয়েছিলাম। তার একান্ত সচিব ও সহকারী একান্ত সচিবের কাছে বিষয়টি জানিয়ে কথা বলি। তারা আমাকে আজ না কাল করে করে দেখা করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে বিশ্বভ্রমণে আব্দুস সাত্তার টরন্টো থেকে সড়কপথে রওনা দেন ২০০৯ সালের ২ আগস্ট। একই গাড়িতে (মিতসুবিশি আউটল্যান্ডার, ২০০৬ সাল, রেজিস্ট্রেশন : বিবিবিবি ৯৩৫) শ` দুয়েক দেশ পরিভ্রমণ করে বিশ্ব রেকর্ড গড়বেন- এমনই স্বপ্ন তার। বড় রকমের বিপত্তি ছাড়াই সাত্তার পাড়ি দিয়েছেন ২৭টি দেশ। পাকিস্তানে পৌঁছে করাচি স্থলবন্দর থেকে তিনি গাড়িটি তুলে দেন কনটেইনারে। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর থেকে গাড়িটি নিয়ে আবারো বিশ্বভ্রমণে বেরিয়ে পড়ার কথা ছিল তার।
সাত্তার বাংলাদেশে পৌঁছেন ২০১০ সালের ২৯ মে। আর তখন থেকেই তিনি নিজের দেশে টানা ৫ বছর ধরে গাড়িটি চট্টগ্রাম শুল্ক বিভাগ থেকে ছাড় করানোর জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছেন। অসংখ্য মন্ত্রণালয়, দফতর ও সরকারি বড় কর্তাদের টেবিল থেকে টেবিলে ঘোরাঘুরি করেছেন। তবে সব প্রচেষ্টাই নিষ্ফল হয়েছে। তবু মনোবল হারাননি সাত্তার। এখনো অপেক্ষায় রয়েছে তিনি বিশ্বভ্রমণে।
# আমলাতন্ত্রের গোলক ধাঁধায় বিশ্ব জয়ের স্বপ্ন (প্রথম পর্ব)
# থেমে যাবেন বলে স্বপ্ন দেখেননি আবদুস সাত্তার (দ্বিতীয় পর্ব)
এসএ/একে/আরএস/পিআর