ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

জনকণ্ঠের শুনানিতে মৃদু উত্তেজনা

প্রকাশিত: ০৮:৩৫ এএম, ১০ আগস্ট ২০১৫

দৈনিক জনকণ্ঠের আদালত অবমাননার অভিযোগের ওপর চলা শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে মৃদু উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে প্রধান বিচারপতি ও অ্যাটর্নি জেনারেলের হস্তক্ষেপে তা থেমে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন এমপি এবং সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহ-সভাপতি প্রধান বিচারপতির পক্ষ নিয়ে প্রথমে আস্তে আস্তে কথা বলতে থাকেন। এসময় জনকণ্ঠের আইনজীবী সালাহউদ্দিন দোলন প্রধান বিচারপতির সঙ্গে অন্য একজন বিচারপতির টেলিফোন কনভারসেশন নিয়ে কথা বলছিলেন। অর্থাৎ দুইজন বিচারপতির টেলিফোনে কথোপকথন নিয়ে আবেদনের একটি অংশ পাঠ করছিলেন।

তখন তারা উত্তেজিত হয়ে দু’জনই দাঁড়িয়ে যান। দাঁড়ানো অবস্থায় নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, জুডিসিয়ারি শেষ করে দিচ্ছে- এটা ঠিক না। পরে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহা প্রধান বিচারপতির আসনে বসা থেকে তাদের থামতে বলেন। এসময় অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম নিজের আসন থেকে উঠে কাছে গিয়ে তাদের থামতে বলেন। পরে তারা থামেন।

উল্লেখ্য, সোমবার সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মামলার রায় নিয়ে আগাম মন্তব্য কলাম প্রকাশ করায় দৈনিক জনকণ্ঠের বিরুদ্ধে জারি করা রুলের জবাব নিয়ে দ্বিতীয় দিনের মতো শুনানি চলছিল।

সোমবার সকাল ৯টা থেকে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে ছয় সদস্যের বৃহত্তর আপিল বেঞ্চে শুনানি চলে। বৃহত্তর বেঞ্চের অপর বিচারপতিরা হলেন, বিচারপতি আব্দুল ওহাব মিয়া, বিচারপতি নাজমুন আরা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. ইমান আলী।

আদালতে জনকণ্ঠের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন দোলন। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শুনানি করেন।

আজ জনকণ্ঠের আদালত অবমানান শুনানিতে এজলাস কক্ষে তিন শতাধিক আইনজীবী, দেশি-বিদেশি বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া জনকণ্ঠের সম্পাদক মোহাম্মদ আতিকউল্লাহ খান মাসুদ ও নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ  রায়, সাংবাদিক নেতা মনজুরুল আহসান বুলবুল উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গতকাল শুনানিতে আদালত পত্রিকাটির সম্পাদক-প্রকাশক ও মুদ্রাকর মোহাম্মদ আতিকউল্লাহ খান মাসুদ (এম এ খান মাসুদ) এবং নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়কে ওই কলামের বিষয়ে সব ধরনের তথ্য-উপাত্ত নিয়ে হাজির থাকতে আদেশ দেন।

প্রসঙ্গত,গত ১৬ জুলাই ‘সাকার পরিবারের তৎপরতা। পালাবার পথ কমে গেছে’ শিরোনামে একটি কলাম প্রকাশ করে দৈনিক জনকণ্ঠ। এর লেখক নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়।

কলাম লেখায় আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে জনকণ্ঠের সম্পাদক মোহাম্মদ আতিকউল্লাহ খান মাসুদ ও নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়ের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে গত ২৯ জুলাই সুয়োমোটো রুল জারি করেন আপিল বিভাগ।  

এফএইচ/এএইচ/আরআইপি