ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

আমাদের সাফল্যের পথচলা থামবে না

প্রকাশিত: ০৭:০০ এএম, ১০ আগস্ট ২০১৫

আমাদের দূরদৃষ্টিসম্পন্ন বোর্ড অব গভর্নরস্ ও কলেজ প্রশাসনের সুযোগ্য নের্তৃত্বে আমরা আগুয়ান। শিক্ষার্থীদের ঐকান্তিক চেষ্টা আর অভিভাবকবৃন্দের সচেতনতায় আমাদের পথচলা কখনো থামবে না। আমাদের এই প্রতিষ্ঠানের প্রসংশনীয় সাফল্য দক্ষ, মেধাবী ও দেশ গড়াতে বিচক্ষণ মানুষ গড়ার ক্ষেত্রকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।

রোববার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর নিজের প্রতিষ্ঠানের ফলাফলে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে জাগো নিউজকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান সুবহানি।

প্রতিষ্ঠানটি এবারো প্রসংসনীয় সফলতা দেখিয়েছে বলে দাবি প্রতিষ্ঠানটির সংশ্লিষ্টদের। যদিও এবার শিক্ষামন্ত্রণালয় ও শিক্ষাবোর্ডগুলোতে পাসের হার ও জিপিও-৫ পাওয়া নিয়ে কোনো স্থান নির্ধারণ করেন নি।



তিনি বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার শিক্ষার্থীর সংখ্যা, পাসের গড় ও জিপিএ-৫ পাওয়ার হিসেবে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ সাফল্য দেখিয়েছে। এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের গড় পাসের বেড়েছে। এ বছর প্রতিষ্ঠানটি থেকে মোট ৮৫২ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। জিপিএ পেয়েছে ৪৫৯ শিক্ষার্থী। পাস করেছে ৮৪৮ জন। পাসের হার ৯৯.৫৩। যা গত বছরের তুলনায় বেশি।

প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, এ বছর প্রতিষ্ঠানটি থেকে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসা শাখা মিলে মোট ৮৫২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৬০৫ জন, মানবিক থেকে ১১৮ জন ও ব্যবসা শাখা থেকে ১২৯ জন। এরমধ্যে পাস করে ৮৪৮ জন। বিজ্ঞান থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬০২ শিক্ষার্থী, মানবিক থেকে ১৬ জন ও ব্যবসা শাখা থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২ শিক্ষার্থী।

সুবহানি জাগো নিউজকে আরো বলেন, বিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছে। ঐতিহ্যবাহী এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি স্মার্ট ক্লাস রুম স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও কলেজের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডকে আরো গতিশীল ও তথ্য-প্রযুক্তি বান্ধব করার লক্ষ্যে একটি সমৃদ্ধ কলেজ ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার সিস্টেম ও ওয়েব সাইট চালু করার কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে।



শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে উল্লিখিত তথ্য-প্রযুক্তি কেন্দ্রিক কার্যক্রম সম্পন্ন করায় কলেজের শিক্ষার মান উত্তোরত্তর ঊর্ধ্বমান।

এবারের সাফল্য সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের পাসের হার এবার শতভাগই হতে পারতো। তবে তা না হওয়ার কারণ বিজ্ঞান ও ব্যবসা শাখার ৪ শিক্ষার্থী অসুস্থতার কারণে সবগুলো পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে নি। একারণে আমরা শতভাগ সাফল্য পাইনি। তবে এতে কোনো আফসোস নেই প্রতিষ্ঠানটির।

তবে জিপিএ-৫ সংখ্যা আরো বাড়তো দাবি করে আক্ষেপ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ’আমাদের এখানে টেস্ট পরীক্ষা শেষ হওয়ার কিছু সময়ের জন্য শিক্ষার্থীরা বাড়ি চলে যায়। ওই সময় রাজনৈতিক অরাজকতার কারণে শিক্ষার্থীরা সবাই ঢাকায় আসতে পারে নি। বাড়ি থেকে পড়াশুনা করেছে। এটা একটা কারণ।

তিনি আরো বলেন, সারাদেশেই এবার যেখানে জিপিএ-৫ কমে গেছে, কমেছে পাসের হারও। সেখানে আমাদের প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে সন্তোষজনক ফলাফল অর্জন করতে পেরেছে। গত বছরের তুলনায় এবার গড় পাসের হার যেমন বেড়েছে তেমনি শিক্ষার্থীর সংখ্যা হিসেবে জিপিএ-৫ এর সংখাও বেড়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির এমন সাফল্যের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, টেস্ট পরীক্ষার পরের ওই সময়ে আমরা অনেক চেষ্টা করেছি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে। অভিভাবকরা অনেক যত্নবান ছিলেন।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ও শিক্ষকদের আন্তরিক প্রচেষ্টা, প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক কার্যক্রম ও অভিভাবকদের সচেতন তত্ত্বাবধানে আমাদের ওই প্রতিষ্ঠানটির ধারাবাহিক ভালো ফলাফল অর্জনের পথকে প্রশস্ত করেছে।

তিনি বলেন, এবার দেশব্যাপী পাসের শতকরা হার যেখানে ৬৯.৬০ সেখানে  আমাদের পাসের হার ৯৯.৫৩। গত বছর ৭০৩ শিক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ পেয়েছিল ৪৯৩ শিক্ষার্থী। পাসের হার ছিল ৯৮.৮৩ শতাংশ।

এর আগে রোববার দুপুর ২টায় প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষের কার্যালয় চত্বরে প্রাণ ফ্রুটো’র সৌজন্যে তৈরি মঞ্চে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

উল্লেখ্য, এবার দেশব্যাপী পাসের শতকরা হার ৬৯.৬০। রোববার সকাল ১০টায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তরের সময় এ তথ্য জানা গেছে। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এ ফল হস্তান্তর করেন।

দুপুর ১টায় সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী।এবার এইচএসসি পরীক্ষা গত ১ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ থেকে ২২ জুন পর্যন্ত চলে। আটটি সাধারণ বোর্ড, মাদ্রাসা এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে সারা দেশে দুই হাজার ৪১৯টি কেন্দ্রে আট হাজার ৩০৫টি শিক্ষাক্ষেত্রে মোট ১০ লাখ ৭৩ হাজার ৮৮৪ জন শিক্ষার্থী এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয়।

জেইউ/এসকেডি/এমএস