এডিপি বাস্তবায়নে পিছিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের পিছিয়ে রয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। জাতীয় গড় অগ্রগতির কাছাকাছিও নেই মন্ত্রণালয়টি।
মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সরকারি প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়।
জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়নের জাতীয় গড় অগ্রগতি যেখানে শূন্য দশমিক ৫৭ শতাংশ সেখানে এ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক অগ্রগতি শূন্য দশমিক ২৩ শতাংশ। অর্থাৎ জাতীয় অগ্রগতির তুলনায় এ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক অগ্রগতি শূন্য দশমিক ৩৪ শতাংশ কম।
বৈঠকে জানানো হয়, চলতি অর্থবছরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের আওতায় মোট ৭১টি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এতে মোট বরাদ্দ পাঁচ হাজার ৭৩৫ দশমিক ৮৫ কোটি টাকা। তবে গত জুলাই পর্যন্ত প্রকল্পগুলোতে ব্যয় হয়েছে মাত্র ১৩ দশমিক ১৪ কোটি টাকা।
এদিকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের আওতায় ১০টি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এতে মোট ৭৭৩ দশমিক ৭৮ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও জুলাই পর্যন্ত কোনো অর্থই ব্যয় হয়নি।
বৈঠকে জানানো হয়, দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সব ছাত্রীকে উপবৃত্তির আওতায় আনার লক্ষ্যে সেকেন্ডারি এডুকেশন স্টাইপেন্ড প্রজেক্টের মাধ্যমে ১০ শতাংশ ছাত্র এবং ৩০ শতাংশ ছাত্রীকে উপবৃত্তি দেয়া হচ্ছে। সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রামের আওতায় একই হারে উপবৃত্তি দেয়া হচ্ছে। কমিটি বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিতে প্রতিটি উপজেলায় আনুপাতিক হারে কারিগরি বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্প গ্রহণের সুপারিশ করে।
বৈঠকে স্কুল কলেজের নতুন ভবন নির্মাণে প্রকল্প গ্রহণের পূর্বে অবশ্যই সঠিক সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণ করে প্রকল্প পাসের পরামর্শ দেয় হয়। যাতে ভবিষ্যতে নতুন প্রকল্প গ্রহণ এবং প্রকল্প ব্যয় বৃদ্ধি না পায়।
এ ছাড়া স্কুল কলেজের অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজে আরও বেশি গুরুত্ব এবং অবকাঠোমো উন্নয়নে যেসব প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে তা অতিদ্রুত শুরুর সুপারিশ করা হয়।
উচ্চশিক্ষা এবং গবেষণা খাতে সরকারের আর্থিক বরাদ্দ বৃদ্ধি পাওয়া গবেষণা কাজে শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে ভূমিকা পালনের পরামর্শ দেয়া হয়।
কমিটির সভাপতি মো. আব্দুস শহীদের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য আলহাজ অ্যডভোকেট মো. রহমত আলী, মো. আব্দুল মজিদ খান এবং মীর মোস্তাক আহমেদ রবি উপস্থিত ছিলেন।
এইচএস/এএইচ/এমএস