রয়ে গেছে কোরবানির বর্জ্য
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় শুক্রবার (২৪ আগস্ট) বেশ কিছু স্থানে কোরবানির বর্জ্য পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
রাজধানীর মিরপুর, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, মোহাম্মাদপুর, কল্যাণপুর, পীরেরবাগসহ বিভিন্ন স্থানে কোরবানির বর্জ্য পড়ে থাকতে দেখা যায়।
রাজধানীর কাজীপাড়ার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, কোরবানির বর্জ্য রাস্তার পাশেই রাখা হয়েছে। এগুলো থেকে প্রকট দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। ফলে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া যাচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার (২৩ আগস্ট) বর্জ্য অপসারণ সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে উত্তরের প্যানেল মেয়র জামাল মোস্তফা বলেন, এ বছর কোরবানি বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মতো একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সাফল্যের সঙ্গে শেষ করতে পেরেছি। এতো স্বল্প সময়ে বিপুল পরিমাণ বর্জ্য অপসারণ এবং সড়ক পরিচ্ছন্নতা কাজে ২৮০টি বিভিন্ন ধরনের যানবাহন ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়। বর্জ্য অপসারণে ডিএনসিসির নিজস্ব ২৭০০ পরিচ্ছন্ন কর্মীসহ সর্বমোট সাড়ে ৯ হাজার মানুষ নিরলস পরিশ্রম করে শহরকে আবর্জনা মুক্ত করেছে।
কিছু জায়গায় বর্জ্য থাকার বিষয়ে প্যানেল মেয়র বলেন, ঈদের প্রথম দিনে কোরবানির বর্জ্য শতভাগ অপসারণ করতে পেরেছি, তবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনে যে কোরবানি হয়েছে সেগুলোর বর্জ্য অপসারণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া বর্জ্য অপরসাণে হটলাইন চালু রয়েছে। যেগুলো নজরে আসেনি সে বিষয়ে জানালে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ডিএনসিসি সূত্রে জানায়, এ বছর প্রথমদিনে আনুমানিক দুই লাখ ১৫ হাজার পশু কোরবানি হয়েছে। ডিএনসিসি ১৮৩টি পশু জবাইয়ের স্থান নির্ধারণ করেছিল। এ ছাড়া সরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন আবাসিক কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে উপযুক্ত স্থান হিসেবে চিহ্নিত ৩৬৬টি সহ মোট ৫৪৯টি স্থানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পশু কোরবানি হয়েছে।
ডিএনসিসির পরিচ্ছন্ন কর্মীরা এবং প্রাইমারি ওয়েস্ট সার্ভিস কালেকশন প্রোভাইডার/ভ্যান সার্ভিসের কর্মীরা বাসাবাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) এবং কন্টেইনারে জমা করে প্রতিটি ওয়ার্ডকে বর্জ্যমুক্ত করেছে।
এএস/এএইচ/পিআর
আরও পড়ুন
সর্বশেষ - জাতীয়
- ১ কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারে কয়েদির মৃত্যু
- ২ সৌদিতে সেবাদানকারী কোম্পানির সঙ্গে হজ এজেন্সিকে চুক্তির নির্দেশ
- ৩ বঙ্গবন্ধু রেল সেতু দিয়ে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলবে মঙ্গলবার
- ৪ পুলিশের দুর্বলতা ছিল বলেই ঘটনা সংঘর্ষের দিকে গেছে: উপদেষ্টা নাহিদ
- ৫ অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ থেকে বিরত থাকে পুলিশ