ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

জাতীয় জাদুঘরে দর্শনার্থীদের ভিড়

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৬:২০ পিএম, ২৩ আগস্ট ২০১৮

ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিনে বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থী ভিড় করেছেন রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরে। বৃহস্পতিবার (২৩ আগস্ট) দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত ছিল জাতীয় জাদুঘর।

ঈদুল আজহার দিন বন্ধ থাকে জাতীয় জাদুঘর। তাই ঈদের ছুটিতে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় জাদুঘর দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেয়া হয়। বিকেল হওয়ার আগেই রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জাদুঘরের গেটে ভিড় জমাতে থাকেন তারা। বিকেল ৩টা পর্যন্ত জাদুঘর প্রাঙ্গণ পূর্ণ হয়ে যায় মানুষে। সারি ধরে তারা জাদুঘরে প্রবেশ করেন। এর আগে তীব্র রোদ উপক্ষো করে নারী-পুরুষ সকলকে লাইন দিয়ে টিকিট সংগ্রহ করতে দেখা গেছে।

এই শহরই যাদের স্থায়ী ঠিকানা কিংবা কোনো কারণে যারা গ্রামের বাড়িতে ঈদ উদযাপন করতে যেতে পারেননি, তাদের বিনোদনের অন্যতম অনুষঙ্গ জাতীয় জাদুঘর।

Museum-2

মোহাম্মদপুর থেকে সপরিবারে জাদুঘরে এসেছেন শাহীন মিয়া। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় থাকি কিন্তু জাদুঘরে কখনও আসা হয়নি। ঈদের ছুটি থাকায় সপরিবারে চলে এসেছি। ছেলেটা ক্লাস থ্রিতে পড়ে, দেখে কিছু শিখতেও পারবে।’

অনেকক্ষণ লাইনে দাড়িয়ে টিকেট নিয়েছেন সুমন মিয়া। প্রবেশের জন্য লাইনে দাড়িয়ে গরমে হাঁসফাঁস করছেন। সুমন পেশায় গার্মেন্ট কর্মী, থাকেন রামপুরা এলাকায়। বন্ধু হাবিবকে নিয়ে তিনি জাদুঘর দেখতে এসেছেন। সুমন বলেন, ‘এত মানুষের ভিড়ে টিকিট নিতে অনেক ঝামেলা হলো। এখন ঢুকব। কোনো দিন জাদুঘরে আসিনি, এই প্রথম আসলাম।’

Museum-3

ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিন শিশু কিশোর, প্রতিবন্ধী ও শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর পরিদর্শন করতে পারছে। জাদুঘর পরিদর্শনে আসা এসব শিশু-কিশোর, প্রতিবন্ধী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে বিশুদ্ধ খাবার পানি।

জাতীয় জাদুঘরের ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ বেলা সোয়া ৩টার দিকে জাগো নিউজকে বলেন, ‘দর্শনার্থীদের চাপ রয়েছে। তবে ঈদুল ফিতরের তুলনায় দর্শনার্থী অনেক কম। কোরবানি ঈদের সময় জাদুঘরে দর্শনার্থী বেশি আসেন না।’

তিনি বলেন, ‘ঈদের দিন জাদুঘর বন্ধ ছিল। আজ বেলা ৩টায় খুলে দেয়া হলো। রাত ৮টা পর্যন্ত খেলা থাকবে।’ দর্শনার্থী বেশি হলেও ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হচ্ছে না বলে তিনি জানান।

Museum-4

শিশু, প্রতিবন্ধী ও শিক্ষার্থীরা সৌজন্য টিকিট নিয়ে জাদুঘরে প্রবেশ করছে জানিয়ে সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘আজ শিশুদের মধ্যে বিশুদ্ধ খাবার পানির বোতল বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া ওয়াসার পানির ব্যবস্থাও আমরা দর্শনার্থীদের জন্য রেখেছি, যা অন্য সময় রাখা হয় না।’

জাদুঘরের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে জানান, জাদুঘরে গড়ে প্রতিদিন আড়াই থেকে তিন হাজার দর্শনার্থী প্রবেশ করে থাকেন। তবে দুই ঈদের সময় দর্শনার্থীর সংখ্যা অনেক বেড়ে যায়। বৃহস্পতিবার জাদুঘরে দর্শনার্থীদের সংখ্যা ৭-৮ হাজার হতে পারে।

জাতীয় জাদুঘর সাধারণত শনি থেকে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে। শুক্রবার খোলা থাকে বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। সাপ্তাহিক বন্ধ বৃহস্পতিবার। এছাড়া টিকিট মূল্য প্রাপ্তবয়স্ক ২০ টাকা ও ১২ বছরের কম বয়সীদের জন্য ১০ টাকা।

আরএমএম/এসআর/পিআর

আরও পড়ুন